শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন !

ফয়সাল হোসেন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান ১০দিনের জন্য বন্ধ রেখেছে সরকার। এর ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র দিনমজুরেরা। কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের।

চট্টগ্রামে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া এ রকম দরিদ্র দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ১৭ হাজার পরিবারকে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। শনিবার (২৮ মার্চ) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন।

তিনি জানান, চট্টগ্রামে একজন মানুষও যাতে অভুক্ত না থাকে সে জন্যে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে নগর ও জেলার দরিদ্র ১৭ হাজার দিনমজুর পরিবারকে আমরা খাবার পৌঁছে দেবো। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী আছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

তিনি আরো জানান, নগরে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় আমরা চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেবো। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দরিদ্র দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব সহায়তা দিয়ে আসবেন। উপজেলায় চাল বরাদ্দের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তারা চাল ছাড়া অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ছোট ছোট প্যাকেট করে দরিদ্র দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব সহায়তা দিয়ে আসবেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ২ হাজার, উত্তর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১ হাজার ৩০০, সীতাকুণ্ডে ১ হাজার ২০০, ফটিকছড়িতে ১ হাজার ৭০০, রাউজানে ৮০০, রাঙ্গুনিয়ায় ১ হাজার, হাটহাজারীতে ৮০০ পরিবারকে ১০ কেজি চালের পাশাপাশি ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৫৫০, পটিয়ায় ৯০০, আনোয়ারায় ৮০০, চন্দনাইশে ৭০০, লোহাগাড়ায় ১ হাজার, সাতকানিয়ায় ১ হাজার, বাঁশখালীতে ১ হাজার ৪০০, সন্দ্বীপে ১ হাজার ৫০০, কর্ণফুলীতে ৩৫০টি পরিবারও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এসব সহায়তা পাবেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী জানান, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আমরা নগর ও উপজেলা মিলিয়ে ১৭ হাজার পরিবারকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছি। এ সংখ্যা আরো বাড়িয়ে সবার কাছে সরকারি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print