Search

রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক

চট্টগ্রামে মিথ্যা মামলা করে আসামি হলেন বাদী, সাক্ষী ও পুলিশ

বাদী কারাগারে রয়েছেন

চট্টগ্রামে মিথ্যা মামলা করে বাদী, সাক্ষী এবং মিথ্যা তদন্ত করে পুলিশের তিন কর্মকর্তা শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা। মামলাগুলো চট্টগ্রাম-১ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন। এদিকে ভুয়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছে ৪ শিশু। মিথ্যা মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাদের আসামি করে বিচারকের মামলা করার বিষয়টি নজিরবিহীন বলছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা।

জানা যায়, চট্টগ্রামে অলিম্পিক বিস্কুটের পরিবেশক কে এম ফোরকানের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত তিন শিশু। বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তারা চাকরি ছেড়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ ফোরকান শিশুদের শায়েস্তা করতে মিথ্যা অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুলাই পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ২২ জুলাই নগরীর হিলভিউ এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে ছুরি ধরে এক লাখ ৫৬ হাজার টাকাসহ একটি ব্যাগ ছিনতাই করে ওই তিন শিশু।

মামলাটি তদন্ত করে ঘটনা ‘সঠিক’ উল্লেখ করে শিশুদের অভিযুক্ত করে ১৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন পাঁচলাইশ থানার এসআই কাজী মাছেমুর রহমান। এর পর শুরু হয় বিচার। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ তিন শিশুর বিরুদ্ধে প্রমাণ না পাওয়ায় গত ২৪ জুন খালাস দেন। সাক্ষ্য দেওয়ার সময় জেরায় বাদী ফোরকান স্বীকার করেন, ওই তিন শিশু চাকরি ছাড়ায় রাগের মাথায় মিথ্যা মামলা করেছেন।

এর পর ৫ আগস্ট ফোরকান ও সাক্ষী ইফতেখার হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৭৭ ও ১৮১ ধারায় মামলা করেন বিচারক ফেরদৌস আরা। এছাড়া তিনি ভুয়া তদন্ত করার অপরাধে এসআই কাজী মাছেমুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন। ৯ আগস্ট ফোরকানকে কারাগারে পাঠান আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের অস্বাভাবিকতা, ঘটনা ও পারিপার্শ্বিকতা একসঙ্গে বিবেচনা করেননি। তিনি বাদীর দ্বারা অন্যায়ভাবে প্রভাবিত হয়ে তিন শিশুর বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

এসআই কাজী মাছেমুর রহমান বলেন, ‘আদালতের বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তবে বাদী, সাক্ষীর বক্তব্য ও প্রমাণের ভিত্তিতেই তদন্ত করে চার্জশিট দিয়েছি, ভুয়া তদন্ত করিনি।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print