
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা পাঠানো দেশগুলোকে নিয়ে একটি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত, যেখানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানেরও অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১৪ অক্টোবর দুই দিনের এ সম্মেলন শুরু হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্টেটসম্যান। সেনাপ্রধান এই সম্মেলনে যোগ দিলে তা হবে চব্বিশের অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর ভারতে বাংলাদেশের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর—আইএসপিআর বলেছে, এ বিষয়ে তাদের হাতে এখন কোনো তথ্য নেই। সেনাপ্রধানের সফরের কোনো সূচি হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
স্টেটসম্যান বলছে, সম্মেলনে ৩০টির বেশি দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করবেন।
এ সম্মেলনকে একটি ‘অনন্য প্ল্যাটফর্ম’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাকেশ কাপুর।
সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সনদের অধীনে বিশ্বশান্তি রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে যৌথ দায়িত্ব রয়েছে, সে বিষয়ে এ সম্মেলনে সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতি একত্রিত হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের পাশাপাশি আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, ভুটান, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ফিজি, ফ্রান্স, ঘানা, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, কাজাখস্তান, কেনিয়া, কিরগিস্তান, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, নেপাল, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তানজেনিয়া, উগান্ডা, উরুগুয়ে, ভিয়েতনাম, রুয়ান্ডা ও সেনেগালের সেনাপ্রধানসহ জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরে রাকেশ কাপুর বলেন, দুটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থাকবে। একটি হবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের টেকসই কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহের বিষয়ে। আরেকটি অধিবেশনে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহারের নানা দিক তুলে ধরা হবে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের হিসাবে, বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৬৮৫ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন।
শান্তিরক্ষী পাঠানোর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী রয়েছে নেপালের; ৬ হাজার ৩৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রুয়ান্ডার শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯০৫ জন।