Search

শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

জলাবদ্ধতা দূরীকরণে চট্টগ্রামে এই বছর উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে

প্রকল্পের ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা

৩ টি প্রজেক্ট মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তার ভাষ্য, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়ে থাকা প্রকল্পের ফাইল দেখার পর তা বাসায় নিয়ে যান এবং এরপর আর ফেরত আসে না। সোমবার(২২ সেপ্টেম্বর) নগরীর জামালখানে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (সিআইইউ) ক্যাম্পাসে ‘পরিচ্ছন্নতা সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন অভিযোগ করেন চসিক মেয়র।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। সিআইইউ বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী খালেদ নগর পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।

মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিনটি প্রজেক্ট এখনো এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে আছে।

উপদেষ্টা সাহেব যখন দেখেন যে এটি একটি প্রজেক্ট, তখন উনি ফাইলটি বাসায় নিয়ে যান। ফাইল আর মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যায় না। আমি খুঁজতে খুঁজতে জানতে পারি, ফাইলটি বাসায় নিয়ে গেছে। এরপর এটি আর সিগনেচার (স্বাক্ষর) হয় না।’

হতাশা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের সহায়তার অভাবে ইউকে, জাপান ও কোরিয়ার প্রজেক্ট কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের বাজেট অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে কমে ২৯৮ কোটি টাকায় নেমে গেছে। মেয়র বলেন, ‘রাষ্ট্র একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

চসিকের বিভিন্ন সমস্যার উদাহরণ দিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের বড় সমস্যা। অ্যাডভাইজারকে কয়েকবার অনুরোধ করেছি। তবে তিনি বললেন, আগে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হোক। আমি ৫০-৬০ শতাংশ জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করেছি, তবে এখনো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পাইনি।’

সিটি মেয়রের বক্তব্যের পরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা সব মন্ত্রণালয় ফাইন্যান্স (অর্থ) মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাজেট প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করি। মূল্যস্ফীতির কারণে যদি ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটি গ্রহণ করুন এবং চট্টগ্রামের মানুষকে বঞ্চিত না করে কাজ শুরু করুন। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এ বছর উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে।’

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম নুরুল আবসারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল করিম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print