রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি

ভৈরব থেকে কিনে আনা একটি মোবাইল ফোনে সিমটি ব্যবহার করে অফিস সহকারী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিনতাই হওয়া মোবাইলে ইউএনওর রেজিস্ট্রার্ড সিম!

ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন

গত ২১ ডিসেম্বর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মোবাইল ফোন হারান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মো. আশিকুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই মোবাইল ফোনটিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইফরান উদ্দিন আহমেদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

আশিকুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি বেশ চাপে আছেন। মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসার জন্য থানা থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির ফয়সালা হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু শামার ইটভাটার সামনে থেকে তার স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিস ছিনতাই হয়। তবে ছিনতাই মামলা পুলিশ নিতে চাইবে না বলে এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বিষয়টি তদন্ত করেন আশুগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। পুলিশের তদন্তে মুঠোফোন ব্যবহারকারী হিসেবে ইরফান উদ্দিনের (ইউএনও) নাম আসে। তার অফিসের কর্মচারী ফয়সাল ফোনটি দেবে দেবে করে দেয়নি। উল্টো ফোনের কাগজপত্র দেওয়াসহ নানা কথা বলতে থাকেন। এ অবস্থায় তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়েছে।

ইউএনও ইফরান উদ্দিন বলেন, আমার নামে নিবন্ধিত বাংলালিংকের সিমটি অফিসের কর্মচারী জালালকে দিয়েছিলাম। এনআইডি কার্ড পাচ্ছিল না বলে তার নামে সিম নিবন্ধন করা যাচ্ছিল না বলে আমারটা দেওয়া হয়।  কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে কিনে আনা একটি মোবাইল ফোনে সে সিমটি ব্যবহার করে। বিষয়টি যে এতদূর গড়াবে বুঝতে পারিনি। এ ঘটনায় ভবিষ্যতের জন্য আমার একটা শিক্ষা হয়ে গেল। আমাকে আরও সতর্ক হতে হবে।

এএসআই মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, ওই ফোনে ব্যবহার হওয়া সিমটি ইউএনওর নামে। বাদী অভিযোগ করেছিলেন ফোন হারিয়েছে। এখন একজন সেটি পেয়ে ফেরত দিয়েছেন। বাদীকে বলার পর তিনি সেটি নিচ্ছেন না।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসনের অফিস স্টাফ জালাল এসে মোবাইলটি থানায় দিয়ে গেছেন। মোবাইল এখন থানা হেফাজতে আছে। কোর্ট থেকে এখনো মামলার কোনো কাগজ আমাদের হাতে পৌঁছাইনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print