
প্রভাতী ডেস্ক : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে আন্দোলন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া যুবক সৈয়দ মো. মোস্তাকিমকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। থানায় পুলিশের নির্যাতনে মোস্তাকিমের দুপায়ে মাংসে পচন ধরে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান।
এদিকে ডায়ালাইসিস ফি ইস্যু কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এ ব্যাপারে আইজিপিকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।
পাঁচদিন কারাগারে থাকার পর গত রোববার জামিনে মুক্ত হন মোস্তাকিম। ১০ জানুয়ারি চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বাড়ানো প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে পুলিশ পিটিয়েছে। এ সময় আমি জামায়াত-শিবির করি কিনা বারবার সেটা জানতে চেয়েছে। আমি অসংখ্যবার বলেছি আমার মা অসুস্থ, তিনি ছাড়া আমার আর কেউ নেই। আমি এখনো সেটাই বলছি।’
জানা গেছে, মোস্তাকিম জামায়াত-শিবিরবিরোধী হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসেনার চট্টগ্রাম নগরের ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড শাখার আহ্বায়ক।
জানতে চাইলে মোস্তাকিমের পরিচয় নিশ্চিত করে ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, ‘মোস্তাকিম জামায়াত-শিবিরের কর্মী নয়। সে আমাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রসেনার নেতা। এছাড়া সে মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটিরও একজন মানবিক কর্মী। করোনাকালে তার মানবিক কর্মকাণ্ড অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে।’
মোস্তাকিমের আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় মোস্তাকিমের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তার পায়ের মাংসে কালো দাগ পড়ে গেছে, পচন ধরেছে। এ বিষয়ে আইজিপির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। যদি বিভাগীয় তদন্ত করা না হয় তাহলে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
ডায়ালাইসিস ফি ইস্যুতে সৃষ্ট ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রানী প্রামাণিক।
তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিনকে। ঘটনা তদন্তে করে শিগগির পুলিশ কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন তিনি।