Search

বৃহস্পতিবার, ১১ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃহস্পতিবার, ১১ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার, ১১ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি

জাতীর সূর্যসন্তানদের হারানোর দিন

প্রভাতী ডেস্ক : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার সূর্যসন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ঠিক এর ১ দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পৃথক বাণী দিয়েছেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। চট্টগ্রামেও দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের এদেশীয় দোসর আল-বদরের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের ব্রাশফায়ার করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, অনেককে লাইন ধরিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ দুটি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এএনএম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেকে।

এছাড়া আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে যায় হানাদাররা। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে, যাদের অনেকের খোঁজ আজও জাতি পায়নি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানরত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর। তবে পরাজয়ে বাধ্য হওয়ায় তারা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

যাদের আত্মত্যাগে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, স্বাধীন মানচিত্র আর লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি- পুরো জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আজ স্মরণ করবে সেসব সূর্য সন্তানকে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print