রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রামে এলএ অফিসে সেবাগ্রহীতাকে অবরুদ্ধ করে নাজেহালের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেবাগ্রহীতাকে অবরুদ্ধে করে হুমকি-ধমকি প্রদান, নাজেহাল করে ঘুষ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে এক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার(১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী হেমায়েত হোসেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১-এর বিচারক জুয়েল দেব এ নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই করতে বলা হয় আদেশে।

মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন-জেলা প্রশাসনের এলএ (ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন) অফিসের এলএও এহসান মুরাদ, সার্ভেয়ার আবদুল মোমেন, ইমাম হোসেন গাজী, মোক্তার হোসেন, আবু কায়সার সোহেল ও অফিস সহকারী বেলায়েত হোসেন বুলু।

জানা গেছে, মামলার বাদী হেমায়েত হোসেন হালিশহর সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা। দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকায় তাদের ২৮ শতক জমি কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা হয়। ওই জমির ক্ষতিপূরণের টাকা প্রাপ্তির জন্য তিনি জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করেন। ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মাহমুদ এই আবেদন গ্রহণ করেন। মামলাসহ নানা অজুহাতে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা দিতে গড়িমসি করে এলএ অফিস। একপর্যায়ে দালালের মাধ্যমে ঘুস বা পারিতোষিক দাবি করা হয়। প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রকৃত মালিকের পরিবর্তে অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু করেন। মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়, সর্বশেষ ১০ নভেম্বর বেলা পৌনে ২টার দিকে বাদী ক্ষতিপূরণের অর্থের বিষয়ে জানতে এলএ অফিসে গেলে সেখানে আসামিরা তার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে তাকে নিচ থেকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করা হয়।এমনকি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নিজেই তাকে গালাগাল করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের এলএ অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ নতুন নয়। বাদী হেমায়েত হোসেন এলএ অফিসে সেবা নিতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন। তাই তিনি এর প্রতিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print