Search

শনিবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

সিরাজগঞ্জে জাল টাকা দিলেন ভোটারদের, জেতার পর দেখাচ্ছেন পুলিশের ভয়

প্রভাতী ডেস্ক : সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে জাল টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। জয়ী প্রার্থী মো. সুমন সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন অন্তত ৭জন ইউপি সদস্য। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ওই জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়।

জানা যায়, ভোটাররা রাতে টাকা নেওয়ার পর নির্দিষ্ট প্রতীকে রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরে প্রার্থীর দেওয়া টাকা নিয়ে কিছু কেনাকাটার জন্য বের হন তারা। তবে কেনাকাটা করতে গিয়ে পরখ করে দেখেন সবগুলো টাকা জাল। এরপর দ্রুত প্রার্থীকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাল নোট যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই কিন্তু পাকড়াও করবে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারণার শিকার ১জন ভোটার বলেন, আগের রাতে তাদের ওই প্রার্থী নিজ হাতে টাকার বান্ডিল বিতরণ করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ না করা হয়। খরচ করলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হবে। এতে তার ক্ষতি হবে। পরে সেই কথা অনুযায়ী ভোটের আগে টাকাগুলো খরচ করিনি। ভোট দেওয়ার পর স্থানীয় ধানগড়া বাজারে গেলে দোকানদার টাকা হাতে নিয়ে উল্টিয়ে দেখে বলে এগুলো জাল নোট। এরপর টাকাগুলো নিয়ে প্রার্থীর কাছে গেলে তিনি পুলিশে ধরিয়ে দেবেন বলে নানা ভয়ভীতি দেখান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য না। আমি নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। আমি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেইনি।

৪ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী তালা প্রতীকের গোলাম মোস্তফা বলেন, জালনোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছে সেটা জানা নেই।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে আমরা এই বিষয়টি অবগত নই।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print