রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

উর্দ্ধতন মহলের পরিদর্শন: সীতাকুণ্ডের আলিনগরের বাসিন্দাদের ৩০ আগস্টের মধ্যে এলাকা ছাড়তে হবে

এম. জিয়াউল হক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আলিনগর পাহাড়ের বাসিন্দাদের আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে এলাকা ছাড়তে বলেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ দিদারুল আলম। রবিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঐ এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি আলিনগরের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশনা দেন।

এমপি দিদার বলেন, আলিনগরে হাজার হাজার অবৈধ বসতি আছে। সরকার এখানে মহা-উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। তাই অবৈধ কোন বসতি (স্থাপনা) এখানে আর থাকবে না।

বিকাল সোয়া ৩টায় চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের এমপি দিদারুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ৪টায় এসে উপস্থিত হন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপির কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, র‌্যাব ৭ এর কমান্ডার এস এম ইউসুফ, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি মো. আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ।

পরিদর্শনকালে চট্টগ্রামের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও ডিসি মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রায় অভিন্ন বক্তব্য রেখে বলেন, এই আলিনগরকে ঘিরে সরকারের মহা উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। যা ইতিমধ্যে বাস্তবায়নের পথে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এখানকার সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে।

এদিন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের এ দলটি বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। পরে তারা ফিরে গেলেও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেখানে দুটি অবৈধ পাকা স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।

এর আগে প্রশাসনের দলটির অভিযানকে সফল করতে সকাল ৯টায় সেখানে পৌঁছান সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম।

তিনি জানান, জঙ্গল সলিমপুরের স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বারবার অভিযান পরিচালনাকালে ঐ এলাকার অঘোষিত রাজা ইয়াছিন মিয়াসহ তার বেশ কয়েকজন সাঙ্গ পাঙ্গকে গ্রেপ্তার, দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ, চার শতাধিক ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ সেখানে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করায় জেলে থাকা ইয়াছিন মিয়ার নির্দেশে তার সহযোগিরা এখানে প্রশাসনের প্রবেশ বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠে। তারা এলাকায় প্রবেশের ৬টি সড়ককেই খাল আকারে গভীরভাবে গর্ত করে রাখে। এতে এখানে প্রবেশের উপায় ছিলো না। তাই তিনি অভিযান সফল করতে সকালে সেখানে গিয়ে আগে বালিভর্তি বস্তা ফেলে সড়কগুলোতে যান চলাচলের ব্যবস্থা করেন। পরে তার কাজ শেষ হলে দুপুরে এমপি মহোদয়সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print