
নিজস্ব প্রতিবেদক: একদিকে স্বস্তি। অন্যদিকে জনদুর্ভোগ। মৌসুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিপাতে বৃহস্পতিবার (১জুলাই) দিনভর চট্টগ্রামে মহানগরী ও আশপাশের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। থেমে থেমে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ও ভারী বর্ষণ, সেই সাথে বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। প্রত্যাশিত বর্ষণে ভ্যাপসা গরম কেটে গেছে।
তবে প্রবল বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বন্দরনগরীর নিচু এলাকাগুলো। কাদা-পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে সড়ক, রাস্তাঘাট, অলিগলি, বসতঘর, দোকানপাট, গুদাম, আড়ত।
মহানগরী ও সংলগ্ন এলাকার পাহাড়-টিলাগুলোতে অবৈধভাবে কেটে-খুঁড়ে ফেলা বালি-মাটি ঢলের পানির মতো নামছে। এতে করে নগরের খাল-ছড়া নালা-নর্দমাগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নগরের প্রধান সড়ক সিডিএ এভিন্যুর বিভিন্ন স্থানে পানি থৈ থৈ করছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর জানায়, আজ দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনো মাঝারি থেকে ভারী, কখনো হালকা বৃষ্টিসহ হচ্ছে বজ্রপাত। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর মুরাদপুর, ষোলশহর, শোলকবহর, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, চাক্তাই, রাজাখালী, কাতালগঞ্জ, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, বন্দর, সাগরিকা, পতেঙ্গা, কাট্টলীসহ অনেক এলাকা।
বসতঘর, দোকানপাট, গুদাম পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। মহানগরীর ব্যবসা বাণিজ্য, পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আমদানি মালামাল লাইটারিং খালাস, নৌপথে পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ দেশের অনেক জেলায় বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানায়। পূবালী বায়ুর সাথে পশ্চিমা বায়ুর সংযোগ ঘটেছে। সেই সাথে বঙ্গোপসাগরের প্রচুর মেঘমালা বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। এর ফলে দীর্ঘ সময়ের খরা-অনাবৃষ্টি কেটে গিয়ে দেশে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাতের আবহ সৃষ্টি হয়েছে।