
প্রভাতী ডেস্ক : ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন দেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদালত বলেছেন, ধর্ষণের মামলায় আগাম জামিনের ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে না।
রোববার (২৩ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ ধর্ষণ মামলায় আগাম জামিন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
একটি ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির সময় এমন মন্তব্য করে জামিন স্থগিতের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দনাথ বিশ্বাস।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দনাথ বিশ্বাস আদালতে বলেন, ২২ বছরের এক নারীকে ২০১৬ সালের ২৯ আগস্টে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর ২দিন পর ৩১ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলার চার বছর পর আসামি ২০২০ সালের ৩১ জুলাই আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন নেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ধর্ষণের মামলায় হাইকোর্ট কীভাবে আগাম জামিন দেয়? রাজনৈতিকভাবে হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের জন্য আগাম জামিনের বিষয়ে আমরা গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছি।
এসময় আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আগাম জামিন প্রশ্নে সুনির্দিষ্টভাবে গাইডলাইন ঠিক করে দেয়া হয়েছে। এরপর…।’ আর আপিল বিভাগের অপর বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘জঘন্যতম অপরাধ। আগাম জামিন দেয় কিভাবে?’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনজীবীকে খুশি করতে আগাম জামিন দেবেন দেন। তবে সেটা হতে হবে আইনমাফিক।’ এরপর আপিল বিভাগ আসামির জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন।