রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

মামুনুল হক সরকার এবং ৩য় রাষ্ট্রের পেইড এজেন্ট: জাফরুল্লাহ

প্রভাতী ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক জঘন্য ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।সোমবার (৫ই এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত হত্যা ও ধবংসাত্মক ঘটনার জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছে ভাষানী অনুসারী পরিষদ নামে একটি সংগঠন। পরিদর্শন দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতেই গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে তারা সংবাদ সম্মেলন করে।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুন জ্বলছে তখন আনন্দ ভ্রমণ করছেন হেফাজত নেতা।উনি বলছেন নাস্তিকদের বাঁচার অধিকার নাই, উনার বাবার আছে? এই দেশ উনার বাবা স্বাধীন করেছেন? আমরা করেছি। মামুনুল হকরা হচ্ছেন এজেন্ট। রোম যখন পুড়ছিল তখন নিরো বাঁশি বাজাচ্ছিল। আর এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে আর মামুন ফুর্তি করতে গেছেন রিসোর্টে। ফুর্তি করেন আপত্তি নাই,কিন্তু ন্যায্য বউ নিয়ে যান।

এ সময় সঙ্গে থাকা নারী তার প্রকৃত স্ত্রী কিনা তারও প্রমাণ দিতে বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক।এতে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, হেফাজতের সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন ছিল। তিনি বলেন, হেফাজতের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সমর্থন করি না। তবে তাদের মিটিং মিছিল করাটাকে সমর্থন করি। এটা তাদের মৌলিক অধিকার। আমরা ১৪ সদস্যের একটি টিম ঘটনার স্থান পরিদর্শন করি। সেখানে স্থানীয় জনগণ, আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও হেফাজতের বক্তব্য শুনেছি এবং দেখেছি। শুনে এবং দেখে এটিই আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে যে এই হামলার সঙ্গে তৃতীয় রাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে। এছাড়া মামুনুল হককে তিনি সরকারের পেইড এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি দাবি জানান, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় নাশকতা, ভাঙচুরের ঘটনায় যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের হয়রানি না করার। একইসাথে নিহতদের তালিকা প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, রেলস্টেশনে আগুনের ঘটনা সাতদিন আগে ঘটলেও ৩রা এপ্রিল আমরা সেখানে গিয়ে দেখেছি আগুন জ্বলছে। এটা কেন? এটা কাকে দেখাতে চান? তাহলে এটা কি হেফাজত ইসলাম নাকি জনগণ নাকি অন্য কোনো তৃতীয় রাষ্ট্র এখানে জড়িত?

সহিংসতায় আমলাদের ইন্ধন ছিল বলেও জানান তিনি। জাফরুল্লাহ বলেন, রাজনীতি এখন আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের করতে দিন। সেখানকার এমপি একজন আমলা। তার কোনো রাজনৈতিক কর্মী নেই। তার রয়েছে পুলিশ ও হেলমেট বাহিনী।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print