এম. জিয়াউল হক: চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ওই সময় ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নগরের নিউ মার্কেট মোড় ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে অংশ নেন সহস্রাধিক দোকান মালিক ও কর্মচারী।
চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমণ্ডি লেন বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব বলেন, ‘শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার জন্য আমরা প্রস্তুত।
করোনায় যদি শিল্প-কারখানা খোলা থাকতে পারে তাহলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার যৌক্তিকতা কি এমন প্রশ্ন রেখে আবু তালেব আরো বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার কাপড়সহ নানা মালামাল তুলেছেন। কিন্তু লকডাউনে মার্কেট বন্ধ রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ঈদেও করোনার কারণে দোকান বন্ধ রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কর্মসূচিতে নগরীর প্রায় ১১০টি মার্কেটের দোকান ও কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন। এসব মার্কেটের ১০ হাজার দোকানে ৫০ হাজার মালিক কর্মচারী রয়েছেন। এই ঈদে কেনাবেচা করতে না পারলে তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারি অন্য দপ্তরের ন্যায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটগুলো খোলা রাখা হোক।’
এর আগে বেলা ১১টা থেকে ‘লকডাউন মানি না, দোকান খোলা রাখতে হবে’ বলে স্লোগানও দেন তারা।
ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন করে বলেন, কনফেকশনারী, খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির দোকান, এমনকি সেলুন পর্যন্ত খোলা আছে। তাহলে আমরা কেন বঞ্চিত হব? অবিলম্বে মার্কেট খুলতে হবে, তা না হলে আমরা রাস্তা ছাড়বো না।’
এদিকে কর্মচারীদের অবস্থানের কারণে নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে গত শনিবার রোজা ও ঈদ সামনে রেখে লকডাউনের এক সপ্তাহ ৪ ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা রাখার দাবি জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে আগামী ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.