প্রভাতী ডেস্ক : আজ ১৭ই মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন। ১৯২০ সালের এই দিন তৎকালীন ভারতবর্ষের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে, সে হিসেবে আজ সরকারি ছুটি।
এবার জাতির পিতা শেখ মুজিুবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী হিসেবে ‘মুজিববর্ষ’ জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতা সায়েরা খাতুন। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন তৃতীয়। বাঙালির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে প্রায় স্ব-পরিবারে নিহত হন।
পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেন। তার নির্দেশনায় দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
আজ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিনে রয়েছে- আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশের সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ।
টুঙ্গিপাড়ার কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এতে অংশগ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল। বিকেল ৩টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এসব কর্মসূচি টেলিভিশনসহ অন্যান্য মাধ্যমেও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ফলে করোনা মাহামারির কারণে সকলকে ঘরে বসে তা দেখার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী রোববার সকাল ১১টায় আলোচনা সভা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া দেশব্যাপী মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ মাহফিল এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ জোহর বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.