প্রভাতী ডেস্ক : কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার রিপোর্ট বিষয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কারণ ওই বিদেশী টেলিভিশন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনীসহ দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার মতো অপরাধ করেছে। তারা অমার্জনীয় ও অহেতুক প্রতিবেদন করে দেশের ইমেজ নষ্ট করেছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের কারণে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলটির গ্রহণযোগ্যতা কমেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, পাবলিক বুঝেছে যে এটা মিথ্যা তথ্য, সেটা আমরা দেখব। যেখানে তথ্যগত ভুল আছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরব। আর আমরা মামলা করব। আমরা সেটার জন্য কাজ করছি। তবে ফাইনাললি কি হয় তা বলা যাচ্ছে না বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।
৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) আর্মি স্টেডিয়ামে এক্সিম ব্যাংক আয়োজিত মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিনি। উনার ৪৫ বছরের রাজনীতির জীবনে এখনো এসএসএফ গার্ড দেয়। কোনোদিন কোনো বডিগার্ড ছিল না। কিন্তু ওই খানে (আল-জাজিরার প্রতিবেদনে) একজনের ছবি দিয়ে বলেছে, এটা উনার বডিগার্ড। এ রকমের মিথ্যা তথ্য মেনে নেওয়া যায় না। এটা কোন সভ্য সমাজ মানতে পারে না।
মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, আল-জাজিরার এমন তথ্য বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। যেখানে ৩৩ লাখ মারা গেছে। সেখানে তারা বলে ৩ লাখ মারা গেছে। তারা অনেক সময় উল্টাপাল্টা তথ্য দেয়।
প্রতিবেদন যদি সত্য হয় সেটা আমরা তদন্ত করব। যদি মিথ্যা হয় তাহলে বাদ দেব। আমরা এসব নিয়ে ভাবছি। অবশ্যই কিছু একটা করা হবে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বলেন, নতুন সেনা সরকার দেশটির রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে রোহিঙ্গারা সরকারের কাছে নিজেদের অবস্থা তুলে ধরেন।
এ সময় মিয়ানমারের রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ধাপে ধাপে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন সামরিক কর্মকর্তারা। এ খবরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গাদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। এটি একটি ভালো খবর বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। এখন কেবল অপেক্ষার পালা।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.