শনিবার, ৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ৫ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৯ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

ধর্ষণের মামলা শেষ করতে হবে ১৮০ দিনে 

প্রভাতী ডেস্ক : ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০’ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়। অধ্যাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। মামলা শুরু থেকে বিচার শেষ করতে হবে ৬ মাস বা ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক বদলি হলেও মামলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সোমবার(১২ই অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এ সভায় যোগ দেন।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ধর্ষণ মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত আছে। তদন্ত বিচার পদ্ধতি সব কিছুই এর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এটি করবে এবং শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। বিচারক যদি কোনো কারণে বদলি হয়ে যান সে ক্ষেত্রেও বিলম্ব হয় অনেক সময়। তবে কোনো বিচারক চলে গেলে তিনি মামলা যে অবস্থায় রেখে যাবেন সে অবস্থা থেকে মামলা চালিয়ে যেতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখানে ক্ষতিপূরণের বিষয়ও রয়েছে, বিচারকরা যেন সেদিকে নজর দেন। এটিতে আইন আছে ১ লাখ টাকার। কিন্তু তার বাইরেও কিন্তু ক্ষতিপূরণের বিধান আছে। যেমন ১৫ ধারায় আছে অর্থদণ্ডের বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যাতে দণ্ডিত ব্যক্তির থেকে বা তার বিদ্যমান সম্পদ থেকে আদায় করা যাবে, এ সম্পদ আদায় করতে হবে।

সচিব জানান, গত কিছু দিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০০’-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আইনের ৯(১) ধারায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছিল। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে এ ধারায় ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ সংশোধনী শুধু আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নয়, বিভিন্ন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি আমরা দেখেছি, আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সব কিছু মিলিয়েই এ সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এটি আলোচনায় এসেছে। মানুষের সচেতনতাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ সংশোধনীর ফলে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হচ্ছে। ফলে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যারা এ ক্রাইমটি করবে তারা চিন্তা করবে এতে তো মৃত্যুদণ্ডের আদেশ রয়েছে। সে কিন্তু একটু হলেও স্ক্যারট (ভীত) থাকবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print