
জাতীয় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার অনলাইন এবং প্রিন্টিং ভার্সনে গত ১৪,১৫,১৭ এবং ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে যথাক্রমে “চর দখলে রাহুর গ্রাস-১/ হাজার কোটি টাকার খাস জমি ৪০ প্রভাবশালীর দখলে, চর দখলে রাহুর গ্রাস- ২/ শামসু-নজরুলের নৃশংসতা-অচল ক্ষেতচর, চর দখলে রাহুর গ্রাস-৩/ ১৩ কোটিপতি বাস্তুহারা, চর দখলে রাহুর গ্রাস-৪/ক্ষেতচরে অবৈধ ঘাট মাদকের গোপন পথ” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদ গুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই সংবাদগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত হওয়ায় আমরা উক্ত সংবাদগুলোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উক্ত সংবাদসমূহে জমি দখল করে প্লট বিক্রি, মাদক ব্যবসা, নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী লালন, খুন, চাঁদাবাজি নারীবাজী, কর্ণফুলী নদীতে ঘাট দখল করে অর্থ আত্মসাৎ, মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে চলা, বাস্তুহারা সমবায় সমিতি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে আমরা বাকলিয়া বাস্তুহারা সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই সংবাদগুলোর বিন্দুমাত্র সত্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নেই। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের পরিবর্তে অন্যের শিখিয়ে দেওয়া ষড়যন্ত্র ও উস্কানীমূলক তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
এই ধরনের অপপ্রচারে আমাদের মারাত্মক সম্মানহানি হয়েছে। একটি কুচক্রী মহল আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রতিবেদককে এসব মিথ্যা তথ্য প্রদান করে উক্ত প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাস্তহারা সমবায় সমিতি জোরপূর্বক দখল করে রাখা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন হল এটি একটি রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন হয়, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই নির্বাচিত। তাহলে এখানে দখলের প্রশ্ন আসে কেমনে?
বাস্তুহারা এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর সন্ত্রাসীদের জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু
এই প্রতিবেদনগুলো দেখে মনে হচ্ছে সমিতির নেতৃত্বে আসাটাই আমাদের অপরাধ। আর যেসব অপরাধের কথা বলা হয়েছে, সেই ধরনের অপরাধ করা হলে প্রশাসন কেন চুপ থাকবে? বর্তমানে দেশের সর্বত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর তারা প্রতিমুহূর্তে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের পাকড়াও করছে। ঠিক এসময় বাস্তহারা এলাকায় এতো বড় বড় অপরাধ করে কেউ পার পাওয়ার কথা নয়।
তবে এটা ঠিক বাকলিয়া বাস্তহারার ক্ষেতচর এলাকায় এক সময় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ছিল। সেটার নেতৃত্ব দিত সাবেক সভাপতি জসীমউদ্দীন প্রকাশ বার্মাইয়া জসিম, টোকাই সালাহউদ্দিন এবং উত্তম কুমার শীলসহ একদল সন্ত্রাসী। তারা এখানে গরিব বাস্তহারাবাসীর উপর নির্যাতন, চাঁদাবাজি, নারীবাজি, জমি দখল এবং মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ করতো। তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দও করতে পারতো না। আর তারাই এখন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে পার পেতে চায়। বর্তমানে তারা বাস্তুহারা থাকে বিতাড়িত বলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
তারা আবারো বাস্তহারার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায়। এই কারণে নানা অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ সজাগ রয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন করেন, প্রতিবেদকের সাথে আমাদের কোন শত্রুতা রয়েছে কি-না। পরিশেষে বলতে চাই, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, তাই যেকোনো অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে অধিক সচেতন হয়ে অনুসন্ধান অতীব প্রয়োজন। অন্যতায় এই ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা ও ঘৃণার সৃষ্টি হবে।
নিবেদক –
শামসুল আলম তালুকদার
(সভাপতি)
নজরুল ইসলাম খান
(সাধারণ সম্পাদক)
বাকলিয়া বাস্তহারা সমবায় সমিতি লিঃ
রেজি:নং- ৭৯২৪