নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৪১টি ওয়ার্ডকে তিন ভাগ করে নাগরিক কার্যক্রম পরিচালনায় উপ-সচিব পদ মর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৩ই আগষ্ট) চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত একটিও পরিচালনায় সহায়ক পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মৌখিক নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন কর্মকর্তার মধ্যে ১ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, ১৫ থেকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া এবং ২৯ থেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করবেন চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী।
অফিস আদেশে বলা হয়, নগরের ৪১ ওয়ার্ডের দৈনন্দিন কাজ, সড়ক আলোকায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জন্ম-মৃত্যু এবং ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য তিন কর্মকর্তাকে ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, ‘কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালনে সহায়ক পরিষদের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে কয়েকদিন আগে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে- সহায়ক পরিষদ গঠন নয়, চসিকের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই কাজ চালিয়ে নিতে।
তাই চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় তিন কর্মকর্তাকে ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্বভার বণ্টনের একটি অফিস আদেশ জারি করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ড সচিব জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ ও ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাচাই শেষ করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বরাবরে পাঠাবেন। এখান থেকে স্বাক্ষর হয়ে ফের ওয়ার্ড কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
জানা যায়, চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়র ও কাউন্সিলরের মেয়াদ শেষ হয় গত ৫ অগাস্ট। সরকার ৬ই আগস্ট চসিকে আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজনকে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেয়। তবে সহায়ক পরিষদ গঠন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। এ নিয়ে ওয়ার্ড কার্যালয়ে নাগরিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দেয়।
বিশেষত- জন্ম-মৃত্যু ও ওয়ারিশ সনদ প্রাপ্তি নিয়ে বিপাকে পড়েন নগরবাসী। এরই মধ্যে সদ্য সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কোনো রকম দাপ্তরিক কাজ না করতে চসিক থেকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়। ফলে বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.