
প্রভাতী ডেস্ক: পুলিশের গুলিতে সিনহার মৃত্যুতে ঝামেলা হতে পারে, টের পেয়ে আগেই বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন প্রদীপ কুমার দাস। বেসরকারি চ্যানেল সময় টিভির হাতে আসা একটি অডিও ক্লিপে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ঘটনার পরদিনই এক আইনজীবীকে ফোন দিয়ে শলা-পরামর্শ করেন তিনি।
৩১ জুলাই রাতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর পরই টেকনাফ থানার সে সময়ের ওসি প্রদীপ কুমার বুঝে গিয়েছিলেন বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে। ফোনালাপে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সেটা। নিজেকে ওসি প্রদীপ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির নিকট আইনি পরামর্শ চাইছেন। ঈদের দিন দেয়া সেই ফোনে তিনি ঘটনার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন।
ফোনালাপে ওসি বলেন, ‘স্যার আমি টেকনাফ থানার ওসি বলছি, স্যার একটা মহাবিপদে পড়েছি আপনার একটু সাহায্য লাগবে। স্যার আমরা ১৫৩, ১৮৬ ও ৩০৭ ধারায় একটা মামলা নিয়েছি।
ওই পরামর্শদাতা বলেন, সরকারি কর্মচারী অ্যাসল্টের, আর……ওসি বলেন, ১৮৬ পুলিশের কাজে বাধা প্রদানকারী। তখন পরামর্শদাতা জানতে চান আর্মির সাথে ব্রিফিং হয়েছে কি না।
এসময় প্রদীপ বলেন উনি অবসরপ্রাপ্ত আর্মি।
পরামর্শদাতা বলেন তাহলে এত ভয়ের কি আছে…?
এসময় কীভাবে আইনিপথে এগুলো পার পাওয়া যাবে তার উপায় বলে দেন সেই পরামর্শদাতা।
আইনজীবী বলেন, তোমরা একটা কাজ করো। ৩০৪-এ একটা মামলা নিয়ে নেও। তখন প্রদীপ বলেন, স্যার এই মামলায় আমরা কী লেখবো; যেহেতু আসামি মারা গেছে মৃত্যুর জন্য এই মামলা নেয়া হলো।
ওসি প্রদীপ বলেন, গুলি-তো পুলিশ করেছে।
পরামর্শদাতা বলেন, এই এজহারটা পুরো লেখবা। এই কারণে তাকে অবসট্রাকশন করে আটকানো হয়েছে। এরপর মামলা রুজু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১শে জুলাই রাতে শামলাপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে শুটিংয়ের কাজ শেষে ফেরার পথে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন প্রদীপ কুমারসহ ৯ আসামি।