প্রভাতী ডেস্ক : করোনাভাইরাস টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকেও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার আদালতে ডা. সাবরিনার রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
রোববার ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতারের পর ডিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সন্তোষজনক কোনো তথ্য দিতে না পারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডা. সাবরিনা জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে ডিসি হারুন বলেন, ‘আমরা আজ তাকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করলাম, আপনি কি চেয়ারম্যান কিনা? উনি বলছেন, না আমি কখনই চেয়ারম্যান ছিলাম না। দ্বিতীয় কথা, আপনি তিতুমীর কলেজে (জেকেজির সঙ্গে কলেজ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের) সময় আপনি সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে কথা বললেন, জেকেজির মুখপাত্র হিসেবে, চেয়ারম্যান হিসেবে কথা বললেন। তখন তিনি (ডা. সাবরিনা) বললেন, আমার হাজব্যান্ড আমাকে এটা বলতে বলছে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিসি হারুন বলেন, যেহেতু তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা সেহেতু তিনি আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান থাকতে পারেন না, কিংবা ওই প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য দিতে পারেন না। উনি যে একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে জেকেজি গ্রুপের পক্ষে ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়েছেন তাও একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তা করতে পারেন না। আগামীকাল যদি তিনি রিমান্ডে আসেন তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের নমুনা নিয়ে পরে যে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা করেছেন তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। রিমান্ডে আসলে আমরা সময় পাব, তখন বাকি তথ্যগুলো জানা সহজ হবে।
ডিসি হারুন বলেন, ‘তারপর উনাকে আরো বিভিন্ন প্রশ্ন করা হলো, কিন্তু ওনি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নাই। যার কারণে ওনাকে আমরা গ্রেফতার দেখিয়েছি। দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে যারা নেগেটিভ তাদেরকে পজিটিভ আর যারা পজিটিভ তাদেরকে নেগেটিভ বানাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের মাঝে সংক্রমণ ঘটছে। মানুষকে প্রতারণা করছেন টাকার বিনিময়ে। বিদেশের মাটিতে আমাদের দেশের মানুষেরা গিয়ে (তাদের ভুয়া রিপোর্টের কারণে) যে ফিরে এসেছে। সবকিছু মিলেই আমাদের তদন্তে আসবে।’
ডিসি হারুন বলেন, তাকে গ্রেফতার করতে আমরা সময় নিচ্ছিলাম। কারণ, তিনি একজন ডাক্তার, সরকারি কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি হারুন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আগামীকাল আদালতে তার জন্য রিমান্ড চাইব। রিমান্ডের প্রেক্ষিতে আরো কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত আমরা তাকে একটা মামলায় গ্রেফতার দেখাচ্ছি। ওই মামলায় রিমান্ডে আসবে, আমাদের যদি মনে হয় আরো কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত, আরো কেউ এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত আরো কেউ আছে সেক্ষেত্রে অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.