
প্রভাতী ডেস্ক : বিগত বছরে ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান শহরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো প্রথম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম থাইল্যান্ড। তবে দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণ অনেক কম। থাইল্যান্ড এখন প্রায়ই আক্রান্ত ও মৃত্যুবিহীন দিন পার করছে। ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সোমবার(২৯ জুন)সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে , “সংক্রমণ কমে আসায় থাইল্যান্ড ১ জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। সোমবারই এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ”।
এছাড়া আগামী বুধবার (১ জুলাই)থেকে পাব, বার এবং কারাওকে ভেন্যুগুলো পুনরায় খুলে যাচ্ছে, দেশটির সরকারের কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক বিশেষ সেন্টারের এক মুখপাত্র “তেওইয়েসিন উইসানুইয়োতিন এমন ঘোষণা দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে বিমান চলাচল শুরুর এই ঘোষণা আসলো”।
“গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহানে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর আরো ২ সপ্তাহ পর ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ে। কিন্তু করোনার বিস্তার রোধে অনেকটা সাফল্য দেখিয়েছে দেশটি”।
চীনের পরপরই থাইল্যান্ডে করোনার বিস্তার শুরু হলেও দেশটি তা সামাল দিতে সক্ষম হয়। তাই ৬ মাস পার হলেও সেখানে এখন করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী ৫৮ জন। আক্রান্তদের ৫৮ জন মারা গেছেন। মোট ৩ হাজার ১৬৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেও তাদের ৩ হাজার ৫৩ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।