বাঁশখালী প্রতিনিধি: বৈশ্বিক করোনা মহামারীতেও থেমে নেই ক্ষমতা প্রদর্শন এবং জোর-জুলুম। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দূর্বলের উপর সবলের নির্যাতন আগের মতই চলমান রয়েছে। অন্যান্য এলাকার মত চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেও ঘটে যাচ্ছে একের পর এক লোমহর্ষক ঘটনা। এসব ঘটনা সামাল দিতে প্রশাসন রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
২রা জুন রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন ছনুয়া ৪নং ওয়ার্ডের টেক পাড়ায় সম্পত্তির বিরোধের জেরে দুই পরিবারের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বৃদ্ধ ও মহিলাসহ অন্তত ৪/৫ জন গুরুতর আহত হয়।
জানা যায়, নূরুল কাদের গং ও নূরুল হোছাইন গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসতেছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার (২রা জুন) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে নূরুল হোছাইন গংদের লোকজন হঠাৎ করে নূরুল কাদের গংদের উপর চড়াও হয় এবং সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় নূরুল কাদের (৬০), নূরুল কাদেরের স্ত্রী খালেদা বেগম(৫০), নূরুল কাদেরের ছেলে ছৈয়দুল আলম (২৫) এবং ছৈয়দ নূর(২০) গুরুতর আহত হন। বিশেষ করে নূরুল কাদেরের মাথা, বুক এবং পায়ে মারাত্মক কাটা জখম হয়। এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে নূরুল কাদেরের মাথা ও বুকের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, নূরুল কাদের এবং তার পরিবারের উপর রাতের আঁধারে নূরুল হোছাইন, আক্তার হোছাইন, নূরুল আমিন, নূরুল ইসলাম, নূরুল আলম এবং আনোয়ার হোছাইনসহ অন্যান্যরা ধারালো কিরিচ এবং লাঠিসোটা নিয়ে যেই হামলা চালিয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে যাবে এবং অন্যান্য অপরাধীরাও এরকম জঘন্য সংঘর্ষে জড়াতে দ্বিধা বোধ করবে না।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ছনুয়ার ৪নং ওয়ার্ডে দু,পক্ষের মধ্যে জায়গা-সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়ে জেনেছি। আহতদের পক্ষে কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.