আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাংবাদিক খাশোগীর হত্যার রহস্য উদগাটন করতে চান তুর্কী প্রেসিডেন্ট। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ১৮ ব্যক্তিকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
শুক্রবার রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রাদেশিক নেতাদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তুর্কি এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, সৌদি আরবে আটক ১৮ জনের মধ্যেই খাশোগির খুনি রয়েছে বলে মনে হয়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে চাইলে আটক ব্যক্তিদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করা উচিত। খাশোগির মরদেহ কোথায় রয়েছে তা জানাতেও সৌদির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে এরদোয়ান এর আগে এতো কঠোর ভাষায় বক্তব্য রাখেন নি বলে তুর্কি দৈনিক সাবাহ'র সাংবাদিক মেহমেত চেলিক মন্তব্য করেছেন।
এরদোগান আরও বলেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত আরও নতুন তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে এবং উপযুক্ত সময়ে তা প্রকাশ করা হবে। আগামীকাল সৌদি আরবের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি তুরস্ক সফরে আসবেন বলেও জানান তিনি।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌদির খ্যাতনামা সাংবাদিক খাশোগি। শুরু থেকে তুরস্ক দাবি করছিল, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতর সৌদি ঘাতক টিমের সদস্যরা হত্যা করেছে এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে কোথাও ফেলে দিয়েছে।
গত বছর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর থেকে রোষানলে পড়েন ৫৯ বছর বয়সী খাশোগি।
তাই তিনি দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-এ যুবরাজের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে একের পর এক কলাম লিখেছিলেন খাশোগি। অভিযোগ রয়েছে, যুবরাজের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ হত্যা সংঘটিত হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে খাশোগীর মরদেহ হস্তান্তরের দাবি উঠেছে। তার স্বজন ও বন্ধুরা বলেছেন, আমরা খাশোগির লাশ চাই। তাকে দাফন করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.