প্রভাতী ডেস্ক : করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আর ভাবতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে দুর্যোগের অবসান না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও আর হচ্ছে না। শুধু চট্টগ্রাম সিটির ভোটই নয়, স্থগিত থাকা অন্য নির্বাচনগুলোও আপাতত আর হচ্ছে না।

সোমবার (১লা জুন) ঢাকায় কমিশনের প্রথম সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় স্থগিত ভোটসহ ৬টি বিষয়ে আলোচনা হয়।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২৯ মার্চ এবং বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হওয়ারও কথা ছিল ওই মার্চেই। তবে ভোটের নির্ধারিত তারিখের এক সপ্তাহ আগে তা স্থগিত করা হয়। যদিও জুলাইয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘মহামারীর মধ্যে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভোটের চিন্তা কমিশনের নেই, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোন নির্বাচন কবে হতে পারে, সে বিষয়টি আরও পর্যালোচনার জন্য ফাইল উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার সময় নিতে পারেন।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনই শুধু নয় দেশের ৪টি সংসদীয় আসন শূন্য থাকায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংসদ সদস্যদের মৃত্যুজনিত কারণে বগুড়া-১, যশোর-৬, পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ সংসদীয় আসন বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল হলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত হয়। ২৯ মার্চ এই তিনটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। এদিকে পাবনা ৪ ও ঢাকা-৫ আসনের সদস্যদের মৃত্যু হওয়ায় এ দুটি আসনও শূন্য হয়েছে।

গত ১৮ জানুয়ারি সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন শূন্য হয়। গত ২রা এপ্রিল পাবনা-৪ আসনের (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্যদিকে ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের (ডেমরা-দনিয়া-মাতুয়াইল) সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।