নিজস্ব প্রতিবেদক : ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নে ঈদের দিন সংঘটিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন (৩০)সহ আরো ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অপর ৩ জন হচ্ছেন বশর কোম্পানী (৩৮) এমদাদ (৩৭) এবং বেলাল (২৯)।
সোমবার বিকালে ও রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃতে খিরামে অভিযান চালানো হয়। পরে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নগরীর মোহাম্মদপুরে চেয়ারম্যানের বাসায় অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে সহ ওখানে অবস্থান করা এমদাদ ও বেলালকে গ্রেফতার করে। বশরকে এলাকা থেকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে ঈদের নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে কতিপয় চিহ্নিত দুর্বৃত্ত আবদুল জব্বার ( ৪২) নামে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কে গুলি করে হত্যা করেছে।
খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব ও শহিদুল্লাহ দুই গ্রুপের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মো. জব্বার (৪২) খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য। সে শহিদুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনায় নিহত ইউপি সদস্য জব্বারের ভাই জাবেদ বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন ওরফে সৌরভকে (৩০) ১নং আসামি করা হয়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান সোহরাবসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় ২৩ জনকে সুনিদিষ্ট করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
তিনি বলেন, এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তিকেই কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
জানা যায়, বর্তমানে উক্ত হত্যাকান্ডকে ইস্যু করে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশী অভিযান অব্যাহত থাকায় ঐ ইউনিয়নে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নটির ভৌগলিক অবস্থান খুবই দূর্গম হওয়ায় ওখানে নানা ধরনের অপরাধ লেগেই রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.