প্রভাতী ডেস্ক : খুলনায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা-পাকা ঘর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।
নদীতে জোয়ার থাকায় কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপের নিন্মাঞ্চলের বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে নদীর পানি প্রবেশ করছে। অনেক স্থানে নদীর পানি প্রবল বেগে আচড়ে পড়ছে জীর্ণশীর্ণ বেড়িবাঁধের উপর। সন্ধ্যার আগে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানা শুরু করেছে সুন্দরবন, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জুড়ে।
তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের অগ্রভাগ বর্তমানে খুলনা উপকূল অতিক্রম করছে। যার প্রভাবে খুলনায় ৭০/৮০ কি.মি. বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বইছে।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনাসহ উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। বুধবার সারা রাত ধরে আম্ফান সুন্দরবন উপকূল অতিক্রম করবে।
এদিকে আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার (১৯ মে) গভীর রাত থেকে খুলনা অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ–নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০–১৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.