নিজস্ব সংবাদদাতা : কাজের মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিনেত্রী শাহানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৫ বছরের শিশুটির ওপর তিনি কতটুকু অমানবিক নির্যাতন করতেন সেটা সরাসরি না দেখলে বুঝা মুশকিল।সারা দেহে জ্বলন্ত মোমবাতি ও খুন্তির ছ্যাকা খাওয়া প্রিয়াঙ্কাকে মঙ্গলবার উদ্ধার করেছে প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশ ওই অভিনেত্রীকে আটক করেছে।
পুলিশ জানান, শাহেনা ঢাকায় অবস্থান করলেও গ্রামের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। কিছুদিন আগে তিনি প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের গজারিয়া কান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে আসেন।শিশুটিকে নির্যাতনের খবর পেয়ে শাহানাকে আটক করা হয়।
এক প্রতিবেশী মহিলা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে শাহেনার বাড়িতে কান্নার শব্দ শুনে স্বামীকে নিয়ে তিনি সেখানে যান। ক্ষত-বিক্ষত প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধার করে তারা প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, সোমবার রাতে শাহেনী লাঠি দিয়ে পেটানোর পর প্রিয়াঙ্কার শরীরে জ্বলন্ত মোমবাতি ও খুন্তির ছ্যাকা দিয়ে ঝলসে দেয়। পরে তাকে আটক রেখে বেরিয়ে যেত। প্রায়ই তার ওপর এ ধরনের নির্যাতন চালানো হতো। শিশুটিকে এই ধরণের নির্যাতন করে আনন্দ পায় শাহানা।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের ডা. নাজমুল হাসান বলেন, শিশুটির অবস্থা ভালো নয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যাওয়ায় তার কিডনি ঝুঁকিতে রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া প্রয়োজন।
৫ বছরের এই অনাথ মেয়েটিকে দত্তক নিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী দাবিদার শাহানা আক্তার।তবে দত্তক সন্তান দাবি করলেও পাঁচ বছরের প্রিয়াঙ্কাকে দিয়ে বাড়ি-ঘরের সব কাজই করাতেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.