সারাদেশের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলছে। এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুবই ব্যস্ত সময় পার করতেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এলাকাভিত্তিক কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও সহযোগীতা করতেছেন। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় বখাটে।
চট্টগ্রামের মুরাদপুরের বিবিরহাট এলাকায় এমনই একটি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো: সালাহউদ্দিন একজন প্রাইভেট কার চালক। ১০ই এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ৩:৩০ টার সময় একটি রোগী আনার জন্য একুশে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে বিবিরহাটের ভেতরে এশিয়া ফ্যান ফ্যাক্টরীর সামনে কতিপয় যুবক বাঁশ হাতে তার গাড়ী থামানোর জন্য সংকেত প্রদান করে। বাঁধা প্রদানকারীদের মধ্যে ২ জন নিশাদ এবং অনিকের সাথে তার পূর্ব শত্রুতা ছিল।
[caption id="attachment_6017" align="alignnone" width="720"] আহত সালাহউদ্দীন[/caption]
সালাহউদ্দীন তাদেরকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে যে, লকডাউনের কারণে সে গাড়ী চালায় না। কিন্তু একজন নিকটাত্মীয় রোগীকে একুশে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়েছে তাই তাকে আনার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছে। কিন্তু বাঁধা প্রদানকারীরা তার কথায় কর্ণপাত না করে তাকে বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে এবং অশ্লীল গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে নিশাদ পকেট থেকে ছুরি বের করে তার মাথায় ৩টা আঘাত করে তারা সবাই পালিয়ে যায়।
এরপর এলাকাবাসী সালাহউদ্দীনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ প্রদান করে।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, স্থানীয় লকডাউনের এমন গর্হিত কাজ কখনো কাম্য নয়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ই এপ্রিল নগরীর খুলশী এলাকায় পাওনা টাকার জন্য ১ ব্যক্তিকে পিটিয়ে করোনা রোগী বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ। উক্ত ঘটনায় মো:মোস্তাফিজ (৩৮) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.