প্রভাতী ডেস্ক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে এই পর্যন্ত মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ জন। আর নতুন শনাক্ত হয়েছে ৫৪ জন।

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনলাইনে ব্রিফ করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়নের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা। এতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত ছিলেন।

ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩জন। এ নিয়ে এই পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সারা বাংলাদেশে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা হয়েছে ৯৮১ জনের। এর মধ্যে নতুন ৫৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২১৮ জন।

ফ্লোরা জানান, সর্বশেষ আক্রান্তদের ৩৩ জন পুরুষ এবং ২১ জন নারী। এদের ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী  ৫জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী  ৭জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী  ৭জন এবং ষাটোর্ধ ১০ জন।

আক্রান্ত ৫৪ জনের মধ্যে ঢাকা শহরে ৩৯ জন, ঢাকার অদূরে ১জন এবং  ১৪ জন ঢাকার বাইরের।

ব্রিফিংয়ে ডা. সানিয়া জানান, এরই মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১৬টি জায়গায় করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় গত  ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৬৩টি। আর ঢাকার বাইরে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪২৫টি। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৯৮৮টি। এর মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ৯৮১টি।

সানিয়া আরো বলেন, এ পর্যন্ত মোট ২১ হাজার কিট বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের সংগ্রহে রয়েছে ৯২ হাজার। বিতরণ হওয়া কিটগুলো শেষ হয়ে গেলে আমরা আমাদের মজুদ থেকে আবারো বিতরণ করব।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গে সানিয়া বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৭৩৭ জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ১৩৯ জন। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ১৫৭ জন উভয় কোয়ারেন্টিনে আছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

হটলাইনে সেবা প্রসঙ্গে সানিয়া বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের কাছে মোট ১৭ লক্ষ ১৮ হাজার ২৯১টি কল বিভিন্ন কল সেন্টারের মাধ্যমে এসেছে। আমরা এরইমধ্যে হটলাইনে যারা সেবা দেবেন তাদের জন্য একটি মুক্ত পাঠের ব্যবস্থা করেছি। এখানে সেবা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক আছেন ১৩ হাজার ৬৪৬ জন। এদের মধ্যে স্বেচ্ছাভিত্তিক সেবা দিচ্ছেন দুই হাজার ৩৬৭ জন। কারো সমস্যা হলে হটলাইনে ফোন দিয়ে যে কেউ এই সেবা নিতে পারেন।