প্রভাতী ডেস্ক: যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবিলার মতো শক্তি আওয়ামী লীগ রাখে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২২ অক্টোবর সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের সৌদি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করার পরেও ৪৫ মিনিট সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ষড়যন্ত্র তো বাংলাদেশের চিরাচরিত একটা বিষয়। প্রতিনিয়তই তো ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ষড়যন্ত্র থাকবে, ষড়যন্ত্র চলবে। কিন্তু যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবার মতো শক্তি আওয়ামী লীগ এবং সরকার রাখে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংশয় যারা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যটা কী? উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, বাংলাদেশে যেন গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা না থাকে। আর ধারাবাহিকতা না থাকলে কিছু লোকের সুয়োগে হবে, এটাই তো? কিন্তু আমি একটা কথা বলতে চাই যে, আমরা চাই, বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হোক এবং নির্বাচন ইনশাআল্লাহ হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে তো ষড়যন্ত্র কম হয়নি। কিন্তু সবকিছু মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারছি। তার কারণ একটাই, সেটা হচ্ছে, জনগণই শক্তি। আমি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আমার ওপর আছে, আমি এটা মনে করি। কাজেই আমি অবশ্যই এ দেশে যাতে সুষ্ঠ নির্বাচন হয়, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সেই নির্বাচন করতে আমরা সক্ষম হবো।’

যথা সময়ে নির্বাচন হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, নির্বাচনের যখন তারা সিডিউল ঘোষণা দিবে, তখনই নির্বাচন হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি।’

ঐক্যফ্রন্টকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন,ছাল-বাকলের জোট নিয়ে তার দল এবং সরকার মোটেও চিন্তিত নয়।তাদের অনেকে আ'লীগের সাথে ছিল,তাদের সম্পর্কে আমার জানা আছে।

মইনুল হোসেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,উনি ইংরেজী খাওয়ার শিখলেও ইংরেজী /ভদ্র আচরণ শিখেন নি।উনার বিরুদ্ধে নারীরা আরো মামলা করেন।ব্যবস্থা সরকার নিবে।

নির্বাচন কালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,বিরোধী দল চায় কিনা এবং উন্নয়নের স্বার্থে মন্ত্রীসভা ছোট করাটা কতটুকু সুবিধা জনক হবে সেটা বিবেচনা করে দেখা যাবে।

নিরাপদ সড়ক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চালকদের পিটালে দূর্ঘটনা কমবে না।যাত্রীরা সচেতন হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।