প্রভাতী ডেস্ক: ভারত থেকে ৬ মাস পর অবশেষে দেশে ফিরল শিশু জেলে ইমরান (১৪)। ১৫ই ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইমরানের দাদা মো. ইসমাইল খান হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। সে এখন সুস্থ আছেন বলে জানান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বেনাপোল সীমান্তে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) -এর কাছে হস্তান্তর করে। সেখান থেকে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে তারা। পোর্ট থানা থেকে স্থানীয় শিশু হোম সেন্টার ফর ওমেন এন্ড চাইল্ড স্টাডিজ (সিডব্লিউসিএস) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইমরান পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মো. এছাহাক খানের ছেলে ও চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষাথী। তার মায়ের নাম আসমা বেগম।
জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট ইমরান বাবার সাথে নিজের নামের মাছ ধরার ট্রলারে করে তার দাদা ইসমাইল খানের সাথে শখের বসে সাগরে যায়। সেখানে সামুদ্রিক ঝড়ে ট্রলার থেকে ছিটকে পড়ে। প্রায় ৬দিন উত্তাল সাগরে সে লুঙ্গি ফুলিয়ে ঢেউয়ের সাথে জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ করছিল। তখন দূরে একটি ট্রলার দেখে তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে ইশারা দিলে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতীয় এফবি বাবা পঞ্চানন নামে একটি ট্রলারের মাঝি মনোরঞ্জন দাস তাকে উদ্ধার প্রথমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার রায়দিঘী থানায় এবং পরে ভোলাহাট থানার নূর আলী মেমোরিয়াল সোসাইটি নামে একটি শিশু যত্ন ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে তাকে রাখা হয়। সেখানেই শিশু ইমরান দীর্ঘ ৬ মাস ছিল।
১৪ বছরের কিশোর মো. ইমরান সাংবাদিকদের বলেছে, ‘ছোটবেলায় পুকুরে লুঙ্গি ফুলিয়ে ডাম্বুরা বানিয়ে সাঁতার কাটার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ছয় দিন সাগরে ভেসে থাকে সে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, শিশু ইমরান ভিন্ন দেশে আটক ছিলে, তার বেঁচে থাকা অলৌকিক। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের থেকে যত সহযোগিতা ছিল সব করেছি। তার স্বজনরাও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.