প্রভাতী ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের গণমাধ্যম চূড়ান্ত স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে এটি যাতে অপরের স্বাধীনতা খর্ব না করে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। অনলাইন পোর্টালের কার্ড নিয়ে যারা সাংবাদিক পরিচয় দেয়, তারা আসলে সাংবাদিক নয়। সব মিলিয়ে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
১৪ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে দেশে গণমাধ্যম দ্রুত বিকশিত হয়েছে। এখন মিডিয়া বলতে শুধু খবরের কাগজকে বোঝায় না। এখন এতে খবরের কাগজ, টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সংবাদপত্রের চিত্র গত দশ বছরে বদলে গেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে মিডিয়ার ব্যাপক বিকাশের কারণে এতে আরো অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে। তিনি মনে করেন, যে কোনো মিডিয়ায় যে কোনো ধরনের ভুয়া নিউজ প্রচার হলে তা অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের পাশাপাশি রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
মন্ত্রী বলেন, অনেকে সামাজিক মাধ্যমকে গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে, এটি একটি অসম্পাদিত প্লাটফর্ম, গণমাধ্যম নয়। তিনি বলেন, অনলাইন পোর্টালের কার্ড নিয়ে যারা নিজেদেরকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়, তারা আসলে সাংবাদিক নয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ মিডিয়ায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরির জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রেস কাউন্সিল সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ পাস করেছেন এবং পরে দেশের মিডিয়ার বিকাশের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গঠন করা হয়। দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু তার শাসনকালে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪-এর মতো অনেক আইন পাস করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য বহুত্ববাদী ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন তথ্যসচিব কামরুন নাহার এবং দৈনিক অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।