প্রভাতী ডেস্ক: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কাথারিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান মঞ্চেই স্ট্রোক করে মারা গেলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমিনুর রহমান চৌধুরীর ভাগিনা মো. রেজাউল করিম তালুকদার লিটন। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় এই ঘটনা ঘটে। ওই মঞ্চে প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে নিহতের পিতা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদারও ছিলেন।
বিদ্যালয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মো. রেজাউল করিম তালুকদার লিটন ছিলেন ১৯৯৪ ব্যাচের ছাত্র। তিনি ঢাকার একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন। নিজের লেখাপড়া করা কাথারিয়া-বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর কাথারিয়া গ্রামে আসেন। শনিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি বক্তৃতা মঞ্চে ওঠেন এবং দীর্ঘ ১৫ মিনিট বক্তৃতা দেন। তার বক্তব্যে উপস্থিত শ্রোতারা খুব খুশি হন এবং করতালিও দেন। বক্তৃতা শেষ করে মঞ্চে বসেন।
ওই সময় সভাপতির বক্তৃতা দিতে ওঠেন বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও কাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। তিনি বক্তৃতা দেওয়ার এক পর্যায়ে পিছনের চেয়ারে বসা অবস্থায় হাত পা খিঁচুনি দিয়ে মঞ্চের পাঠাতনে লুঠে পড়েন লিটন। ওই সময় উপস্থিত অতিথিরা তাকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, রেজাউলের মৃতুটা খুবই মর্মান্তিক। সবার আনন্দের মাঝে তার মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি।
আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় রেজাউল করিম লিটনের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।