ফয়সাল হোসেন : চট্টগ্রাম ওয়াসার খোঁড়া গর্তে মোটরসাইকেলসহ পড়ে নাড়ি-ভুঁড়ি বেরিয়ে গেল এক যুবকের। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো নগরীর চকবাজারের কলেজ রোডে।
গুরুতর আহত হওয়া ওই যুবক হলেন বোয়ালখালীর রতন চক্রবর্তীর ছেলে জয়দেব চক্রবর্তী। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাইক নিয়ে চকবাজার থেকে গণি বেকারির দিকে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম ওয়াসার খোঁড়া গর্তে পড়ে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওয়াসার প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, গর্তে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। গর্তে পড়ায় আমরাও অবাক হয়েছি। জয়দেবের চিকিৎসার বিষয়ে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়া জানান, সন্ধ্যায় জয়দেব চক্রবর্তী নামের এক যুবককে পথচারীরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। বাইকসহ তিনি কলেজ রোডের ওয়াসার খোঁড়া গর্তে পড়ে আহত হন। তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল।
ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরীর মূল সড়ক থেকে অলিগলিরও এখন বেহাল অবস্থা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প ও জাইকার অর্থায়নে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের পাইপলাইন বসানোর জন্য সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। খোঁড়া সড়ক দ্রুত সংস্কার না হওয়ায় সড়কগুলোতে যানজট লেগে থাকার পাশাপাশি দুর্ঘটনা-দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী নগরবাসীর।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে ওয়াসা চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় নগরে ১৬০ কিলোমিটার সড়ক কেটে পাইপ বসানোর কাজ শুরু করে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত চলবে। এই প্রকল্পের অধীনে এ পর্যন্ত ১৫৬ কিলোমিটার পাইপ বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো ৪ কিলোমিটার সড়ক কাটবে ওয়াসা। পাইপটি বহদ্দারহাট মোড় থেকে মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ,গণি বেকারি, জামালখান মোড়, নিউমার্কেট, সদরঘাট হয়ে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত যাবে। সেক্ষেত্রে এই সড়কগুলো কাটবে ওয়াসা।
অন্যদিকে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পাইপ বসানোর কাজ শুরু করে ইতোমধ্যে ৫০০ কিলোমিটার পাইপ বসানোর কাজ সম্পন্ন করেছে ওয়াসা। সে হিসেবে এই প্রকল্পের জন্য নগরের আরো ১৫০ কিলোমিটার সড়ক কাটা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সাল পর্যন্ত চলবে। নগরে দুটি প্রকল্পের পাইপলাইন একসাথে বসানোর কাজ শুরু হওয়ায় ওয়াসা প্রায় সব সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি করছে। এতে যানলাচলে বিঘ্নতাসহ ধূলোবালিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.