বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাবান ১৪৪৬ হিজরি

দুই পক্ষের আইনজীবীরা আমার কথা রাখেননি- প্রধান বিচারপতি

প্রভাতী ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির সময় আইনজীবীদের উভয় পক্ষের (আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ) মোট ৬০ জন আইনজীবীকে আপিল বিভাগের এজলাসে উপস্থিত থাকার আদেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। পরে কিছুক্ষণ বিরতিতে যান বিচারপতিরা। এরপর এজলাসে এলেন প্রধান বিচারপতিসহ ছয় বিচারপতি। সকাল ১০টা ৯ মিনিটে এজলাসে প্রবেশ করেন তারা। প্রবেশ করেই প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা এক সাইটে যান।’ এসময় সাংবাদিকরা নিউজ সংগ্রহের জন্য এজলাসের সামনের সারির কাছাকাছি অবস্থান করেন।

এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মিস্টার অ্যাটর্নি জেনারেল ও মিস্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমাদের কথা কেউ শুনলেন না। আপনাদেরকে থার্টি থার্টি করে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। ৬০ জন আইনজীবী এজলাসে থাকবে এমন আদেশ কেউই মানেননি।’

বিরতির সময় রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস থেকে আদালতের এজলাসে এসে খবর নেওয়া হয়। উভয়পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথাও বলা হয়। কিন্তু কেউই প্রধান বিচারপতির কথায় সাড়া দেননি।

এরপর রেজিস্ট্রার জেনারেল আদালতে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট উপস্থিত করেন। আইটেম ডাকতে বেঞ্চ অফিসারকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। তখন মামলার আইটেম ডাকা হয়। বেঞ্চ অফিসার কল করেন আইটেম টুয়েলভ। শুরু হয় জামিনের শুনানির প্রসঙ্গ। মেডিকেল রিপোর্টটি পড়েন জয়নুল আবেদীন।

জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসারসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। প্রপার ট্রিটমেন্ট হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। আমরা হিউম্যানিটি গ্রাউন্ডে খালেদা জিয়ার জামিন চাই।’

এরপর ১১টা ৪ মিনিটে বিরতিতে যান বিচারপতিরা। এরপর ১১টা ৩৮ মিনিটে আবার মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন। তিনি আদালতে বলেন, ‘খালেদা জিয়া পঙ্গু হওয়ার পথে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে জামিন দরকার বলে মনে করছি।’

জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা প্রতিবেদন দিতে না পারায় এজলাসে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে তাদের আরও ছয় দিন সময় দিয়ে ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেওয়ার দিন ঠিক করে আদালত।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print