
এম.জিয়াউল হক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পশ্চিম বাকলিয়া ১৭ ওয়ার্ডের মাত্র ৮মাসের উপ-নির্বাচন আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই)। এলাকায় বিরাজ করছে ভোটের আমেজ। ব্যানার-ফেস্টুনে চেয়ে গেছে পশ্চিম বাকলিয়ার অলিগলি। ৬জন প্রার্থীর অক্লান্ত প্রচারণায় মুখর এলাকা। আজ মঙ্গলবার ২৩ জুলাই ছিল বিরামহীন প্রচারণার শেষ দিন।
নির্বাচনী ওয়ার্ডটি নগর বিএনপি’র সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেনের নিজ এলাকা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বিএনপি’র প্রার্থী মাত্র ১জন। এছাড়া এলাকাটি বিএনপি’র ভোট ব্যাংক হিসাবেও পরিচিত। এলাকার মানুষের প্রতি ডিউকের পিতার অনেক অবদানও রয়েছে তাই অনেকটা সুবিধা জনক অবস্থায় আছে বিএনপি’র প্রার্থী।
বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে রাত-দিন ভোটারদের ধারে ধারে গিয়ে ভোট চাইতেছেন তরুণ উদীয়মান নেতা আরিফুল ইসলাম ডিউক।
প্রচারণার শেষ দিনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এবং প্রয়াত কাউন্সিলর আলহাজ্ব এ.কে.এম জাফরুল ইসলামের ছেলে এ.কে.এম আরিফুল ইসলাম ডিউকের মিষ্টি কুমড়া মার্কার সমর্থনে প্রচারণায় মাঠে নামেন বিএনপি’র হেভী ওয়েট নেতৃবৃন্দ। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান, নগর বিএনপি’র সভাপতি এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ডা:শাহাদাত হোসেন এবং নগর বিএনপি’র সিনিয়র সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে মাঠে দেখা যায়। এছাড়া বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ডিউককে জয়ী করতে একজোট হয়েছেন।
এদিকে নিকট অতীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের অভিজ্ঞতা থেকেই মূলত শঙ্কা ভর করছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। কিন্তু এই ধরণের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে দৃঢ় প্রত্যায়ের কথা জানালেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওয়ার্ডে ভোটার ৪৯ হাজার ৭৮২ জন। পুরুষ ২৩ হাজার ৭৩৩ জন ও নারী ভোটার ২৬ হাজার ৪৯ জন।
১৭টি ভোটকেন্দ্রের ১২৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ১৭ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২৪ জন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৪৮ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০,৫৭২ ভোট পেয়ে মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন ডিউকের পিতা ও ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব এ.কে.এম জাফরুল ইসলাম। গত ১৭ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ.কে.এম জাফরুল ইসলামের মৃত্যুর পর ১২ জুন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।