প্রভাতী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একজন রাজনীতিকের সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা। আমি আমার কাজ ও ব্যবহারের মাধ্যমে তা অর্জন করতে পেরেছি। মানুষের ভালোবাসা এবং দোয়ায় আজ আমি ২ মাস ১১ দিন পর দেশে ফিরতে পেরেছি। দেশবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বুধবার দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের। দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জীবনটাই হলো স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা। আমরা এটা শিখেছি বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে। শেখ হাসিনার কাছ থেকে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী পরম মমতায় আমার দেখভাল করেছেন। একজন মা তার সন্তানের জন্য যা করেন, শেখ হাসিনা আমার জন্য তাই করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। ঋণের বোঝা আরো বেড়ে গেল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা কোরআন শরিফ পড়ে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা রইল।
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হওয়ার পর নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। যদিও সে সময় আমি আমার মধ্যে ছিলাম না। আমি শুনেছি প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে আমাকে নাম ধরে ডেকেছিলেন। আমি নাকি কেবল তাঁরই ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।
আবার নতুন উদ্যমে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে কাদের বলেন, আমি না থাকার পরও নেতাকর্মীরা ইউনিটি ধরে রেখে যেভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন- তা আমায় অভিভূত করেছে। আমরা এভাবেই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব।
এর আগে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুরের অস্থায়ী আবাস ছেড়ে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৮৫ ফ্লাইট বিকাল ৫টা ৫২ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে স্থানীয় সময় ৪টা ১০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে বোয়িং ৭৩৭-৮ই ৯ উড়োজাহাজটি। ৩ঘণ্টা ৪২ মিনিট উড়ার পর নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট আগেই টার্মাক স্পর্শ করে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটটি। এ সময় কাদেরকে স্বাগতম জানাতে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার নেতাকর্মীরা।
বিমান বন্দরে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং শেষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণভবনে যান ওবায়দুল কাদের।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.