
সানজিয়া শাবনাম: আজকে আমি কিছু লিখলাম পাখির গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার নিয়ে, যার নাম ‘এগফুড’। হয়তো পাখি প্রেমীদের কাজে লাগবে।
★প্রথমে এগফুড কি? হাঁস,মুরগি,কোয়েল এর ডিম ও বিভিন্ন শাক-সব্জির সাথে মিশিয়ে তৈরী পাখির নরম খাবার কে এগ ফুড বলে।
★পাখিকে কেন এগফুড খাওয়াবেন?
১। ডিমে প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা পাখির জন্য প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে ব্রিডিং এর সময় মা-বাবা ও বেবী উভয়ের জন্যই খুব জরুরী।
২.বেবীদের জন্য নরম খাবার খেতে সুবিধা হয়, বাবা-মা পাখি যেহেতু নিজে খেয়ে বেবীদের খাওয়ায়, সেহেতু নরম খাবার দ্রুত খেতে পারে এবং নিজে খেয়ে বেবীদের খাওয়াতে পারে খুব সহজে।
৩.অনেক পাখি সব রকম শাক-সবজি খায় না তাই এগ ফুডে সবকিছু একসাথে মিশিয়ে দিলে সব খাচ্ছে বলে নিশ্চিত করে বলা যায়।
৪.এগফুডে ডিম ও সবজি থাকায় প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদির যোগান হয় বলে পাখির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
★এগফুডের উপকরণ সমূহ:
যা যা দিতে পারেন-
ডিম(যেকোনো), শাক-সবজি(কুমড়া, পটল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা , পেপে, সীম,ব্রোকলি, আপেল,আমড়া, কামরাঙ্গা, জলপাই, বরই,স্ট্রবেরি) ,অঙ্কুরিত বীজ,বুটের ডাল সিদ্ধ,সজনি পাতা, আবার বিভিন্ন ফলমূলও দিতে পারেন।
যা দিবেন না-
কোন ফলের বীজ দিবেন না যেমন:
পেঁপে,আপেল এবং টমেটো জাতীয় কোন কিছুর বীচি দিবেন না। এমনকি টমেটো গাছের পাতাও দেওয় যাবে না।
★সতর্কতা :
১.ফার্মের মুরগীর ডিম ব্যবহার করবেন না। দেশি মুরগী,হাঁস,কোয়েলের ডিম ব্যবহার করবেন এতে পাখির স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে না।
২.ডিম পাখিকে নিয়মিত দেয়া যাবে না কারণ, ডিম পাখির প্রাকৃতিক ডায়েটের মধ্যে পড়ে না। প্রতিদিন এগফুড হজমে বাঁধা দেয় তাই সপ্তাহে
দু’দিনই যথেষ্ট। বাকি দিনে সজনি পাতা দিতে পারেন অথবা বিভিন্ন শাক-সবজি দিতে পারেন।
৩.খাঁচায় এগফুড ২ ঘন্টার বেশি রাখবেন না এতে পিঁপড়া অথবা,ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে পারে।
৪.এগ ফুড তৈরিতে সিদ্ধ শাক-সবজি ব্যবহার করলে শাক-সবজির গুন বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে যায় তাই কাঁচা শাক-সবজি ব্যবহার করতে হবে এবং অবশ্যই ভালভাবে ধুঁয়ে ব্যবহার করতে হবে।
আগামীতে নতুন কিছু নিয়ে আবারো লিখব। ভাল থাকুক সবার পাখি।