প্রভাতী ডেস্ক: ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচন কালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যেগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে, তিনি সেই মামলায় জামিনে আছেন। কিন্তু সরকার উদ্ভট কিছু নতুন মামলা দিয়ে তার জামিন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছে।তিনি এখন কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বার বার বলা হলেও সরকার তা অগ্রাহ্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন জেগে উঠেছে। তারা সরকারের জুলুম নির্যাতনকে এখন আর ভয় পায় না। বরং সরকারই বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের আতংকে ভুগতেছেন। ওবায়দুল কাদের বিটিভি দেখে নিজের হতাশা থেকে ভয় পেয়ে বিএনপির সমাবেশে লোকসমাগম হতাশাজনক বলে মন্তব্য করছেন। গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতার করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। তপশীল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। যোগ্য এবং নির্দলীয় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে ইভিএম ব্যবহার না করার বিধান নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে সরকার। চট্টগ্রামে প্রতিদিন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার পরও ঢাকায় তাকে গায়েবী মামলায় আসামী করা হয়েছে। আমরা আজকের এ সমাবেশ থেকে এসব গায়েবী মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধের আহবান জানাচ্ছি। তিনি আগামী ১০ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে জনসমাবেশ করারও ঘোষণা দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে অন্যায়ভাবে কারান্তরিন করে রেখেছে তা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে। গতকাল তাদের নির্বাচনী প্রচারণার পথসভায় হানিফ বলেছে তফসিলের আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব না। এর আগে সাবেক প্রধান বিচাপতি এস কে সিনহা তার বইতে লিখেছেন আদালতে যে রায় দেয়া হয় তা অন্য জায়গা থেকে আসে। এতেই প্রমাণিত হয় দেশে আজ আইনের শাসন নেই, সরকার বেগম জিয়াকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সাজা দিয়েছে তাই আদালতের মাধ্যমে তার মুক্তি সম্ভব নয়। আমাদেরকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক গয়েবী মামলা দিয়ে সরকার আর একটি একতরফা নির্বাচন করতে চায়। মামলা, হামলা, গ্রেফতার নির্যাতন করে কোন লাভ হবে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা মামলাকে আর ভয় করেনা। দেশের মানুষ আর আওয়ামি লীগকে খালি মাঠে গোল দিতে দিবেনা। জনগন তাদের প্রিয় নেত্রী বেগম জিয়াকে এবং ভোটধিকার ফিরে পেতে অচিরেই রাজপথে নেমে আসবে এবং সরকারের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া ও এরশাদ স্বৈরচারী সরকার হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন শেখ হাসিনাও স্বৈরচারী সরকারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোন স্বৈরচার সরকার ঠিকে থাকতে পারেনি, তিনিও পারবেন না। তিনি আরো বলেন,ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য অনুযায়ী বিএনপির সমাবেশে যদি লোক সমাগম কম হয় তাহলে লালদীঘির মাঠে বিএনপির জনসমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না কেন? সভা সমাবেশ আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা আশা করবো প্রশাসন আমাদেরকে সমাবেশ করতে সহযোগিতা করবেন।মহানগর বিএনপির সাংগঠনক সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায়
সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নূরী আরা সফা, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, হারুন জামান, ছৈয়দ আহমদ, এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মো. ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজউল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ ছৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু,হাজী মো. সালাহউদ্দিন, মো. সামশুল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এম আই চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, আবদুল নবী প্রিন্স, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাইফুর হমান বাবুল, হাজী হানিফ সওদাগর,কাউন্সিলর মো. আজম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুর উল্লাহ বাহার,আবদুল হালিম স্বপন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজাহান, রেহান উদ্দিন প্রধান, নেজাম উদ্দিন খান, আজাদ বাঙালী, সফিক আহমদ, মো. হাসেম সওদাগর, ফয়েজুল ইসলাম, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, মো. ইউসুফ আলী, আবদুল হাই, আলী আজম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু।