
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিয়ের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়—যৌতুকের জন্য নির্যাতনের পর তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে স্বামীর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নববধূর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস (২১)। তিনি উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাইরাং এলাকার মুজিবুর রহমানের মেয়ে।
নিহতের পরিবার বলছে, মাত্র ১৯ দিন আগে ২৩ অক্টোবর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে খালাইচ্ছার দোকান এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে সাহাব উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্বামী ও স্বামীর পরিবার। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে দফায় দফায় নির্যাতন করতেন স্বামী ও তার পরিবার। এই নির্যাতন সইতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন নববধূ জান্নাতুল।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শাহাব উদ্দিনের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তিনি আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে করেন। জান্নাতুল ফেরদৌস মঙ্গলবার রাতে স্বামীর মোবাইলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহাব উদ্দিন তাকে বালিশ চাপা ও গলা টিপে হত্যা করেন বলে দাবি করে পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। স্বামী বর্তমানে পলাতক বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এটি আত্মহত্যা, খুন নয়। তবে নিহতের পরিবার বলছে, খুন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.