
লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করার দায়ে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকার আনন্দ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২৭ অক্টোবর) র্যাব ৭ ও বিএসটিআই যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেন। বিএসটিআই’র সহকারী পরিচালক (সিএম) রিগ্যান বৈদ্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই অভিযানে ওই এলাকায় লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে মশার কয়েল তৈরি ও বাজারজাত করার দায়ে সুপার কয়েল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. জুবায়েরের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিএসটিআই’র ফিল্ড অফিসার (সিএম) প্রকৌ. মাহফুজুর রহমান, প্রকৌ. মো. হাসিবুল হাসান, পরীক্ষক (মেট) প্রিময় মজকুরী জয়, পরিদর্শক (মেট) সাঈদ আহমেদ তালুকদার অংশগ্রহণ করেন। অভিযানে র্যাব সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ অদালতকে সহযোগিতা করেন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, আনন্দ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে পান। প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের অনুকূলে বাধ্যতামূলক সিএম লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত জারের গায়ে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে ও মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ ছাড়া উৎপাদনপূর্বক বাজারজাত করে আসছে। পরে এ ঘটনায় বিএসটিআই আইন ২০১৮ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮ অনুযায়ী আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি একই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে, সুপার কয়েল লিমিটেড কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের অনুকূলে বাধ্যতামূলক সিএম লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত লেবেলে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে মোড়কজাতপূর্বক বাজারজাত করে আসছে। পরে এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে বিএসটিআই আইন-২০১৮ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.