স্টাফ রিপোর্টার: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাহাড় সুরক্ষায় ৩ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পের অধীনে বড় বড় ড্রেনের পাশের পাহাড়গুলোতে বিন্নাঘাস লাগানো হবে। এতে বৃষ্টির সময় পাহাড়ের মাটি ক্ষয় হওয়া এবং পাহাড় ধসে পড়া বন্ধ হবে। বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটিক্ষয় বন্ধ হলে নালা-ড্রেন-খাল ভরাটও বন্ধ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীতে জলাবদ্ধতা প্রশমন সহজ হয়ে উঠবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের এবং থাইল্যান্ডের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) থেকে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করা, জনদুর্ভোগ হ্রাসের সাথে সিল্ট ট্রেপ ও ড্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ের ক্ষয়রোধ করে নগর ড্রেনেজ ব্যবস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা, জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষা মৌসুমে স্বল্প সময়ে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট নগর জলাবদ্ধতা নিরসন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করা সহজ হয়ে উঠবে। জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়ার কথা বলা হয় ডিপিপিতে।
আরো জানা যায়, প্রকল্পটির মূল কাজ ধরা হয়েছে পাহাড়ের ঢাল তৈরিতে মাটির কাজ, আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, টো-ওয়াল নির্মাণ, জুট জিও টেক্সটাইল দিয়ে জোরদারকরণ, বিন্নাঘাস সরবরাহ ও লাগানো। এতে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটি সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জনবল দ্বারা বাস্তবায়ন করা হবে। চসিকের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রকল্পটির পরিচালক এবং একজন নির্বাহী প্রকৌশলী ডিপিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও প্রকল্প পরিচালকের মাধ্যমে দরপত্র আহবান ও সকল আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের অন্যতম একটি দিক হল পরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেম করা। আর ড্রেনগুলোকে পানি চলাচলের উপযোগী করে রাখা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ের ক্ষয় ও ধ্বংসরোধ হবে। বৃষ্টির সময় পানির ঢলের সাথে মাটি আসতে পারবে না। তাহলে ড্রেনও ভরাট হবে না। যার কারণে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে প্রশমন হবে। এছাড়াও পাহাড় সুরক্ষিত থাকলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে মোকাবেলা সহজ হয়ে উঠবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.