চট্টগ্রামে এক নারীকে পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করার অপরাধে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। একইসঙ্গে জিম্মি থাকা দুই নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২রা মে) বায়েজিদ থানাধীন রুপনগর আবাসিকের ১ নম্বর গলির কাপ ভবন থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আরাফাতুল ইসলাম (৩০), ফারজানা বেগম (৩০), আবু ওমর (৩২) ও মো.আনসার (৩৫)। উদ্ধার হওয়া দুই নারী হলেন, লায়লা ও পারভিন (ছদ্মনাম)।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, কাপ ভবনে নারীকে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে আরাফাতুল ইসলামসহ তার ৩ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করি, এবং তাদের কাছে জিম্মি থাকা ২ নারীকে উদ্ধার করি।
উদ্ধার হওয়া লায়লার (ছদ্মনাম) বরাত দিয়ে বায়েজিদের ওসি বলেন, চাকরির জন্য সে চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট আসলে অভিযুক্ত আরাফাতুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়, ওই সুবাদে ভিকটিমকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে রূপনগর আবাসিকের ওই বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে অভিযুক্ত ফারজানার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় আরাফাত। তখন ভিকটিম লায়লা সেখানে পারভিন (ছদ্মনাম) কে দেখতে পান। এরপর আরাফাত ও ফারাজানা খদ্দের এনে ভিকটিম পারভিনকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতে দেখে বাসা থেকে চলে আসতে চায়।
তিনি আরও বলেন, তখন লায়লাকে মারধর ও ভয় দেখিয়ে খদ্দেরের সঙ্গে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে ভিকটিম লায়লা অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার পর সেখানে অভিযান পরিচালনা করে আরমান ও ফারাজানাসহ আরো দুই খদ্দেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।