শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১০ই মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ই জিলকদ ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু টানেলে মোট ১২ ধরনের যানবাহনের জন্য টোল দিতে হবে

বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল নির্ধারণ: সর্বনিম্ন ২০০ টাকা

সেতুর তুলনায় যানবাহনের শ্রেণি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু টানেলে আড়াই থেকে ছয় গুণ টোল দিতে হবে

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) যানবাহনের শ্রেণি অনুযায়ী টোল হার চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ।

টানেলটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে শুরু হয়ে ৩.৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু টানেলে মোট ১২ ধরনের যানবাহনের জন্য টোল দিতে হবে। এই টানেলে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দিন থেকে এই টোল হার কার্যকর হবে। তবে, এখনও ট্যানেল খুলে দেওয়া বা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ৩.৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলে সর্বনিন্ম টোল ২০০ টাকা। প্রাইভেটকার পারাপারে এই টোল দিতে হবে। প্রতিবার পিকআপ পারাপারে টোল লাগবে ২০০ টাকা। মাইক্রোবাসের টোল ২৫০ টাকা। ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৩০০ টাকা। ৩২ আসনের বেশি বাসের টোল ৪০০ টাকা। তিন এক্সেল বিশিষ্ট বড় বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

৫ টন পর্যন্ত পণ্য বহনে সক্ষম ট্রাকের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা। ৮ টনের ট্রাক পারাপারে ৫০০ টাকা এবং ১১ টনের ট্রাকে ৬০০ টাকা টোল দিতে হবে। তিন এক্সেলের ট্রেইলারে টোল লাগবে ৮০০ টাকা। চার এক্সেলের ট্রেইলারে দিতে হবে ১ হাজার টাকা। পরবর্তী প্রতি এক্সেলের জন্য বাড়তি ২০০ টাকা দিতে হবে।

এদিকে, কর্ণফুলী আমানত শাহ সেতুর তুলনায় যানবাহনের শ্রেণি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু টানেলে আড়াই থেকে ছয় গুণ টোল দিতে হবে। আমানত শাহ সেতুতে প্রাইভেটকারের টোল ৭৫ টাকা। সেতুতে ৩১ আসনের কম বাসের টোল ৫০ টাকা, টানেলে তা ৩০০ টাকা। ফলে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই টানেলকে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে সেতুর সঙ্গে। তবে, সেতুর তুলনায় টানেলে কম সময়ে যানবাহন পারাপার হতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, টানেল চালু হওয়ার পর ২০২৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। এছাড়া ২০৩০ সালে যানবাহন চলাচলের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সালে যানবাহনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতিদিন গড়ে এক লাখ ৬২ হাজার।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print