শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি

এই সমাজের সুশীল লোকেরা আমাকে গ্রহণ করতে পারে না

হিরো আলমের প্রশ্ন, রুচিশীলরা কেন সমাজে রুচি ফিরিয়ে আনতে পারছে না 

আমি যদি এত সমস্যা হই, তাহলে আপনারা আমাকে মেরে ফেলেন

রুচি নিয়ে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের সমালোচনার জবাবে হিরো আলম বলেছেন, ‘আমি নাকি দেশের রুচি নষ্ট করে ফেলছি, সমাজ নষ্ট করে ফেলছি। যদি তাই হয়, দেশে এত যে রুচিশীল মানুষ আছেন, তারা কেন সমাজের রুচি ফিরিয়ে আনতে পারছে না?’

মামুনুর রশীদের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন হিরো আলম। তিনি বলেন,‘দেশে ১৮ কোটি লোক থাকতে আপনারা শুধু আমাকেই দেখতে পান। আমাকে নিয়েই কথা বলেন।

সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশ রূপান্তরে প্রকাশিত ‘দেশে রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে’ শিরোনামে নিজের কলামেও এসব বিষয় উল্লেখ করেন মামুনুর রশীদ।

হিরো আলম ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনসাধারণের রুচি নিয়ে নাট্যজন মামুনুর রশীদের এসব মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নজর এড়ায়নি হিরো আলমের। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন হিরো আলম।

এই সমাজের সুশীল লোকেরা তাকে গ্রহণ করতে পারে না দাবি করে হিরো আলম বলেন, ‘যাদের চেহারা সুন্দর, দেখতে ভালো, টাকা আছে, ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো এবং মামা-খালু আছে, তারা হচ্ছে সমাজের সুশীল লোক। আমি তো সুশীল না, চেহারা খারাপ, দেখতে ভালো না। তাই আমাকে নিয়ে এত কথা উঠে। ’

কড়া কণ্ঠে হিরো আলম বলেন, ‘আমি তো কখনো কারো কাছে যায়নি যে আমাকে কাজ দেন। আমাকে আপনারা তৈরি করেননি। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি তো আমাকে তৈরি করেননি। ’

নিজের কাজের কথা তুলে ধরে হিরো আলম বলেন, ‘এফডিসির কয়েকজন ৫০০ টাকার পরিচালক আছেন যারাও কি না আমাকে নিয়ে নানান কথা বলে। আমাকে তো আপনারা তৈরি করেননি, আমি কারও কাছে যাইনি। আমি শুধু আমার কাজ করে যাচ্ছি, ফাউন্ডেশন চালাচ্ছি। অনেকে বলে এই ফাউন্ডেশনের নামে নাকি আমি ব্যবসা করছি!’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা রুচিশীল মানুষ তারা কেন সমাজের রুচি বদলাতে পারছেন না? আমি যদি এত সমস্যা হই, তাহলে আপনারা আমাকে মেরে ফেলেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, হয় আমাকে জেলে বন্দি করে রাখেন, নয়তো দেশ থেকে বের করে দিন। ’

হিরো আলমের দাবি তাকে সুন্দরভাবে কেউ বাঁচতে দিচ্ছে না, ‘রাজনৈতিক জায়গা হোক, সিনেমার জায়গা হোক, সবখানে আমি শুধু টর্চারিংয়ের শিকার হচ্ছি। আমাকে মানুষ বাঁচতে দিচ্ছে না। ’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print