প্রভাতী ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কৃষক লীগের সৌদি আরব শাখা, কাতার শাখা! কৃষক লীগ কৃষকের সংগঠন, এদের কাজ কী? এসব দোকান বন্ধ করতে হবে।
সোমবার(১৩ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিউটের কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় শান্তি সমাবেশের নামে বিএনপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ শহরে আপনারা বাস করেন বলেন আমরা কোথায় বাধা দিয়েছি? সংঘাত শুরু করেছে বিএনপি। বেশ কয়েকটি জেলায় তারাই আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, আপনাদের সময় কি করেছেন একবার ভেবে দেখেছেন? আপনাদের আমলে আমরা কোথাও শান্তিতে সমাবেশ করতে পারিনি। আপনারা আমাদের মিটিং করতে দেননি। অনেক নেতাকর্মীকে রাজপথে পিটিয়ে আহত করেছেন। আজকে চোরের মায়ের বড় গলা।
বিএনপিকে ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসুন, নেতিবাচক রাজনীতি পদযাত্রাকে মরণযাত্রায় নিয়ে যাবে। সিরাজগঞ্জে ১৮টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি সন্ত্রাসীরা।
অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের বিভিন্ন শাখা কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। প্রশ্ন রাখেন গুলশান বনানীর কৃষক লীগ, সৌদি আরব শাখা, কমিটির কাজটা কি? এসব ভুঁইফোড় কমিটি বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এসব দোকান বন্ধ করতে হবে। ঢাকা সিটিতে কৃষক লীগের কী কাজ? ধানমন্ডি শাখা, গুনশাল শাখা কেন? তখন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র জানান, বিদেশের শাখাগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
কৃষক লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তাদের কাজের ক্ষেত্র কৃষকদের নিয়ে। কৃষক সমাবেশ দিয়ে আমাকে দাওয়াত দেন, আমি যাব। ঢাকায় মিটিং ডেকে ছাত্র-ছাত্রীদের এনে লাভ নেই। কৃষক লীগ সভাপতির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছিলাম দক্ষতা, যোগ্যতা দেখে। শুরুটা ভালোই করেছিলেন, এখন ছেদ পড়েছে।
কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস টেনে তিনি বলেন, বহরমপুর-মুর্শিদাবাদে কৃষকরাই মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে, দেবী চৌধুরানীর নেতৃত্বে, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, সাঁওতাল বিদ্রোহে কৃষকেরাই আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। মাস্টার দ্যা সূর্যসেন, ক্ষুদিরাম ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন। খণ্ড খণ্ড বিদ্রোহে আমরা বিজয়ী হতে পারিনি, অখণ্ড এই বিপ্লব সফল হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কৃষকদের আন্দোলনে।
বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝেও বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে খুঁজে পাওয়া যায় না বলে সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
কৃষি না বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে কৃষিকে বাঁচাতে হবে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, আধুনিকীকরণ করতে হবে। বিশ্বব্যাংকের এমডিও বলে গেছেন বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের কথা।
কৃষিবিদ ইনিস্টিউটের সভাপতি শহিদুল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম
সম্পাদক ও প্রকাশক :
Copyright © 2025 বাংলার প্রভাতী. All rights reserved.