বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বুধবার, ২রা জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৬ই মহর্‌রম ১৪৪৭ হিজরি

আত্মগোপনে থাকা মেজো মেয়েসহ ইমরান র‍্যাব হেফাজতে

প্রভাতী ডেস্ক : বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে র‌্যাবের একটি দল রাজধানীর কালাচাঁদপুরে আত্মগোপনে থাকা বাবা ইমরান শরিফকে মেজো মেয়েসহ উদ্ধার করে।

র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের রায় ছিল জাপানি মায়ের কাছে থাকবে জাপানি দুই সন্তান। কিন্তু রায় প্রতিপালনে থানা পুলিশ বাবাসহ মেজো মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিল না। আদালতের রায় উপেক্ষা করে মায়ের কাছে সন্তানকে হস্তান্তর না করে মেজো মেয়েসহ বাবা আত্মগোপনে চলে যান এমন তথ্য পায় র‌্যাব। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান থানাধীন কালাচাঁদপুর এলাকায় আত্মগোপন করা বাবা ইমরান শরিফকে মেজো মেয়েসহ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

আদালতের রায় প্রতিপালনে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। আজ আদালতে নতুন করে সন্তানদের ফিরে পাওয়ার আবেদন করার কথা রয়েছে জাপানি মায়ের।

অন্যদিকে আদালতের রায় অমান্য করে জাপানি মা নাকানো এরিকোও দ্বিতীয়বারের মতো তার বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে গতরাতে পালানোর চেষ্টা করেছেন।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের হজরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে সে কোন দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে তাকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

এর আগেও এ জাপানি মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টা করলে আদালতের রায়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক উল্লেখ করেন, শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক তথা বাচ্চাদের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কার কাছে নিশ্চিত হবে রায়ে সেটির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দুই সন্তান বাবার কাছে থাকা মঙ্গল হবে বলে বাদী যে দাবি করেছেন, সেটি প্রমাণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরো বলেন, নাবালিকা দুই শিশুর সবশেষ বসবাসের স্থান জাপান। তাদের মা জাপানের চিকিৎসক। তাই মায়ের হেফাজতেই শিশুরা শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তায় থাকবে বলে মনে করেন আদালত।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। এছাড়া, বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকাও এই রায়ে খুশি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print