Search

শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি

আওয়ামী লীগকে উৎখাত করবে, এমন শক্তি দেশে নেই- সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রভাতী ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, বাংলাদেশে এখনো এমন কোনো শক্তি তৈরি হয়নি যা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারে, কারণ এই দলের শেকড় অনেক গভীরে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম ক্ষমতা দখলকারী কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে হয়নি। আওয়ামী লীগের জন্ম এদেশের মাটি ও মানুষ থেকে। কাজেই আমাদের শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইয়াহিয়া-আইয়ুব খান-জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। আগামীতেও পারবে না।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারত প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নকর্তাকে আরেকটি ওয়ান ইলেভেন আসা নিয়ে চিন্তা না করার পরামর্শ দেন।

মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোথায়, কত দুর্নীতি হয়েছে তা স্পষ্ট করতে হবে। স্পষ্ট করে বললে তার জবাবও তিনি দেবেন।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এ সংক্রান্ত একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে সম্পূরক প্রশ্নকর্তাকে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- কোথায়, কত দুর্নীতি হয়েছে সেই কথাটা তাকে এখানে স্পষ্ট বলতে হবে। যার জবাব আমি দেবো। তিনি এ সময় পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বিশ্ব ব্যাংক তো পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। সেখানে কী কোনো দুর্নীতি হয়েছিল? দুর্নীতি হয়নি। তারা প্রমাণ করতে পারেনি।

এটা শুধু আমার কথা নয়, কানাডার ফেডারেল কোর্টের মামলার রায়েই বলা হয়েছে- সকল অভিযোগ মিথ্যা। কোনো অভিযোগ সত্য নয়, সব ভূয়া। সেক্ষেত্রে কীভাবে বললেন দুর্নীতি হচ্ছে বাংলাদেশে। দুর্নীতি যদি সত্য হতো! তাহলে এত অল্প সময়ে এসব প্রজেক্টের কাজ কী শেষ হতো? কোনদিন হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী সরকারি দলের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে রোজা পালনের সময় ভোগপণ্যে কারসাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সংশ্লিষ্ট মহলকে সতর্ক করেন।

আহসানুল ইসলাম টিটোর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম যাতে না বাড়ে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি মজুদদারি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা চাই রোজার মাসে মানুষ যাতে কষ্ট না পায়। কেউ মজুদ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Telegram
WhatsApp
Email
Print