প্রভাতী ডেস্ক: সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাস থেকে বাবাকে নদীতে ফেলে দিয়ে মেয়ে জরিনা খাতুন (৪৫) কে অপহরণের ২ ঘন্টা পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসচালক ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। হত্যার পরে জরিনা খাতুনের লাশ মহাসড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের মরাগাং এলাকা থেকে জরিনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জরিনা খাতুন (৪৫) সিরাজগঞ্জের চৌহালী এলাকার আকবর আলী মণ্ডলের মেয়ে।
নিহতের পরিবার জানায়, জরিনা খাতুন তার বাবাকে নিয়ে শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যার দিকে স্বামীর বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশে রওনা দেন তারা।
এসময় বাসের মধ্যে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাস চালকের লোকজন তাদের দুজনকেই মারধর করে। পরে রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া ব্রিজের নিচে জরিনার বাবা আকবর আলী মণ্ডলকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় চালকের লোকজন।
এদিকে বাস থেকে ফেলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আকবর আলী বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে টহল পুলিশের একটি দল আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের পাশে ওই নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
এ বিষয় আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, এই ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাসচালক, হেলপার ও বাসের নাম শনাক্তের চেষ্টা চলছে।